স্কুলে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি (পার্সেন ইন্টারেস্টেড ইন এডুকেশন) নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এল রানিগঞ্জে। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ করেছে।
রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি সনাতন বিদ্যালয়ে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নির্বাচন ছিল। তৃণমূল কর্মী অরুণ মোদীর দাবি, ওই পদের জন্য তিনি এবং দলেরই আর এক কর্মী সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি সুভাষবাবুকে ৬-৪ ভোটে হারান। তাঁর অভিযোগ, এর পরে স্কুল চত্বরে সুভাষবাবুর হয়ে তৃণমূল নেতা মহম্মদ সামিম আহমেদ তাঁকে মারধরের হুমকি দেন। অরুণবাবর কথায়, “আমি দৌড়ে সেখান থেকে পালাই। পরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেনাপতি মণ্ডল, সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ সামিম আহমেদ-সহ ১৫ জন আমার দোকানে চড়াও হয়ে মারধর ভাঙচুর চালিয়ে চলে যায়।” তিনি রানিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানিগঞ্জে তৃণমূলের সেনাপতি মণ্ডল এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অলোক বসু, খলিল আহমদদের গোষ্ঠীর মধ্যে মাঝে-মধ্যেই গোলমাল বাধে। এর আগে রানিগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নির্বাচনে সেনাপতিবাবুকে হারিয়ে দেন রানিগঞ্জের ১৩ নম্বর তৃণমূল ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক অজয় মণ্ডল। অভিযোগ, তার পরে অজয়বাবুকে ঘরছাড়া হতে হয়। দু’দিন পরে শিক্ষানুরাগীর পদে পুননির্বাচন হয়। আগে অজয়বাবুকে ভোট দেওয়া সদস্যেরা সে দিন লিখে দেন, তাঁরা সেনাপতিবাবুকেই ওই পদে চান।
মঙ্গলবার সেনাপতিবাবুর দাবি, “অরুণ মোদী আমাদের দলের কেউ নয়। এই স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা ও শিক্ষক-অশিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আমাদের বিরোধীদের সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন। শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নির্বাচনে দু’জন সদস্যকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা হেরে গিয়েছি। অরুণের দোকানে এক ক্রেতার সঙ্গে বচসা থেকেই গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। তার সঙ্গে আমরা কোনও ভাবে যুক্ত নই।” তবে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অলোক বসুর বক্তব্য, “বারবার ওরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। অরুণ দীর্ঘদিন আমাদের কর্মী। এ বার প্রশাসন পদক্ষেপ না করলে আমরা আন্দোলনে নামব।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। |