|
|
|
|
হুল্লোড় |
|
নতুন টলি
পিনকোড |
|
এ বার দ্বীপরাষ্ট্রে। সিঙ্গাপুরের হলে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলবে বাংলা ছবি। সিঙ্গাপুর থেকে লিখছেন শ্রেয়সী সেন |
সিঙ্গাপুরে জমজমাট টালিগঞ্জ। রাইমা, মৈনাক, প্রিয়াংশু, ঋতুপর্ণা, গৌতম ঘোষ, অরিজিৎ দত্ত। ছিলেন সিঙ্গাপুরের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতও। প্রজাতন্ত্র দিবসের গোটা দিন জুড়ে চলল বাংলা ছবি। আর তারকাদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর। ‘তিন কন্যা’য় শুরু। ‘শূন্য অঙ্ক’য়ে শেষ। মাঝে ‘মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর’। প্রবাসীরা যেন চোখ ডুবিয়ে দেখলেন সাবটাইটেল সমন্বিত তিন ছবি। প্রযোজনায় রোজ ভ্যালি ফিল্মস্। ছিলেন সস্ত্রীক পরিবেশক গৌতম কুন্ডু। গোটা দিনকে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল ‘বেঙ্গল রায়ট’। সিঙ্গাপুর প্রান্তে যার সহযোগিতায় ছিল মুভি, মস্তি অ্যান্ড মোর। দর্শকেরাও যেন বললেন মোর, মোর। একমাত্র আনন্দ প্লাস হাজির সেখানে। সিঙ্গাপুর আর কলকাতা। শহর-দেশ। শহর। |
|
বিমান পথে মাত্র চার ঘণ্টা। একটা থেকে আর একটায় এমনিতেই যোগাযোগের হাল্কা সুর। আর ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা ছবির বিশ্বায়নের এক অধ্যায়ই যেন শুরু হতে যাচ্ছে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক চলে, কমে যাবে দুই শহরের সাংস্কৃতিক ভেদাভেদ। যখন কলকাতার বাংলা সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাবে সিঙ্গাপুরের ক্যাথি সিনেমাস্-এর চারটি স্ক্রিনে। এ রকম ব্যবস্থা শুধু সিঙ্গাপুর কেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও এই প্রথম। বিশ্বেও প্রথম।
সিনেমার মাধ্যমে দুই শহরের একাত্ম হওয়ার এ যেন এক নতুন অধ্যায়। সিঙ্গাপুরের প্রথম বাংলা ফিল্ম উৎসব ‘দর্পণ’ গতবছর অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে হয়েছিল যে অধ্যায়ের সূচনা।
যে দু’টো ছবি প্রথম সিঙ্গাপুরে বাণিজ্যিক মুক্তি পাবে, সেগুলো গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘শূন্য অঙ্ক’ আর মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত ‘মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর’। ২৬ জানুয়ারির প্রিমিয়ারে এই দু’টো সিনেমা দেখার জন্য হল ছিল কানায় কানায় ভর্তি। তার আগে মর্নিং শোতে ছিল অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘তিন কন্যা’। |
|
উপস্থিত না থাকলেও অভিনয়ে দারুণ প্রশংসিত অনুব্রত-স্বস্তিকা |
সিঙ্গাপুরের অধিবাসীদের একটা বড় অংশ বাঙালি, যাঁরা দুর্গাপুজো করেন। ইউ টিউবে বসে বাংলা ছবি দেখেন। নিয়মিত হলে যান আন্তর্জাতিক সিনেমা দেখতে।
বাংলা সিনেমা নিয়ে এই দ্বীপ রাষ্ট্রে রীতিমত চর্চা হয়। দ্য পুট্টনাম স্কুল অব ফিল্ম- লা স্যালি কলেজ অব আর্ট, চ্যাপম্যান স্কুল অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ আর নগি অ্যান পলিটেকনিক ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্মস্ অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ তার উদাহরণ। এমনকি দ্য সিঙ্গাপুর ফিল্ম সোসাইটি অ্যান্ড দ্য মিডিয়া ডেভলেপমেন্ট অথরিটিও সিঙ্গাপুরে বাংলা সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী।
প্রথম দু’টো ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে কলকাতার প্রোডাকশন হাউজগুলোও মুখিয়ে আছে সিঙ্গাপুরে ছবি মুক্তির দিকে। এটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিনেমার বাজার ধরার প্রথম পদক্ষেপ হতেই পারে।
টলিউডে যে নিউ এজ সিনেমা হচ্ছে, তার সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন প্রবাসীরা। এঁদের অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর গৌতম ঘোষ তাই হয়তো বলছিলেন, “এটা আমাদের নতুন বাজার ধরার দারুণ সুযোগ।” |
|
|
|
|
|