একে অপরের প্রশংসায় ওবামা-হিলারি |
এক সময়ের দূরত্ব ভুলিয়ে পাশাপাশি দেখা গেল দু’জনকে। একটি টিভি চ্যানেলে পাশাপাশি বসে হাসিমুখে সাক্ষাৎকার দিলেন দু’জনে। বিদায়ী বিদেশ সচিবের পাশে দেখা গেল সহানুভূতিশীল প্রেসিডেন্টকে। ২০০৮-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ের তিক্ততা দূরে সরিয়ে এ ভাবেই কাছাকাছি এলেন হিলারি ক্লিন্টন ও বারাক ওবামা।
আর কিছু দিন পরেই মার্কিন বিদেশ সচিবের পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন হিলারি রডহ্যাম ক্লিন্টন। সেই উপলক্ষে একটি টিভি চ্যানেলের যৌথ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন হিলারি এবং ওবামা। অনুষ্ঠানের নাম ‘সিক্সটি মিনিটিস’। সেখানেই হিলারির সম্পর্কে প্রশংসা শোনা গেল ওবামার মুখে। আর হিলারিও কম গেলেন না। অবসরের আগে জানিয়ে গেলেন, ওবামার জায়গায় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে অবশ্যই তাঁর ক্যাবিনেটে থাকত বারাক হুসেন ওবামার নাম।
ওবামার প্রতি সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, “এই অনুষ্ঠানে আসতে রাজি হলেন কেন?” হিলারিকে উদ্দেশ করে ওবামার তাৎক্ষণিক জবাব, “সবার সামনে আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর একটা সুযোগ খুঁজছিলাম।” শুধু তাই নয়, মার্কিন বিদেশ সচিব হিসেবে গত চার বছর ধরে হিলারির ভূমিকারও
ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ওবামা। বলেছেন, “আন্তর্জাতিক ভাবে আমাদের দেশ যা সাফল্য পেয়েছে, তার অনেকখানি কৃতিত্ব ওঁর।” হিলারিও জানিয়েছেন, ওবামার
সঙ্গে খুবই উষ্ণ আর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর।
|
বন্দি প্রত্যর্পণে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি |
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি-প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। একই সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে শিথিল ভিসা চুক্তিও। সোমবার দু’দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে। বিকেলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সঙ্গে টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর ওই দু’টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন শিন্দে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় সে দেশের জেলে বন্দি আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া, ত্রিপুরার জঙ্গি নেতা মোহন দেববর্মন, এনডিএফবি নেতা থুলুঙ্গা ওরফে তেন্সু নার্জারিদের ভারতে ফেরানোর রাস্তা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হল। পাশাপাশি ভারতে লুকিয়ে থাকা শেখ মুজিবর রহমানের আততায়ীদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করবে ভারত। তাতে নির্বাচনের আগে ঘরোয়া রাজনীতিতে বাড়তি সুবিধা পেতে পারে হাসিনা সরকার। তবে ক্যাবিনেট সচিব মহম্মদ মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া জানান, রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে এ চুক্তি প্রযোজ্য হবে না। শিথিল ভিসা চুক্তির ফলে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগী, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিক এবং বারো বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার কড়াকড়ি কমবে। |