রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য সরকারি জমির ব্যবস্থা করা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার সার্বিক উন্নয়ন করা তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে জানালেন রাজ্যের কৃষি, মৎস্য ও নগরোন্নয়ন দফতরের পরিষদীয় সচিব তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য। রবিবার রায়গঞ্জের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে হাসপাতাল পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধনের পরে এ কথা জানান অমলবাবু। গত বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় পরিষদীয় সচিবের পদে দায়িত্ব নেন অমলবাবু। এ দিন কংগ্রেসের নাম না করে তিনি বলেন, “এইমসের ধাঁচে হাসপাতালের জমি অধিগ্রহণের দাবিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক সুবিধা পেতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মহাকরণ অভিযান করেছে। রাজ্য সরকার কোনও অবস্থায় হাসপাতাল তৈরির জন্য জোর করে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করবে না। হাসপাতাল তৈরির জন্য সরকারি জমির ব্যবস্থার পাশাপাশি জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাস্তাঘাট, পরিবহণ, কৃষি সহ সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
১০ জানুয়ারি হাসপাতাল তৈরির জন্য পানিশালায় জমি অধিগ্রহণের দাবিতে জমির মালিক তথা চাষিদের নিয়ে মহাকরণ অভিযান করে কংগ্রেস। অমলবাবু জানান, চাষিরা এখনও স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে জানায়নি। তিনি জেলাশাসকের মাধ্যমে চাষিদের স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন। এই বিষয়ে ওই বিষয়ে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “চাষিরা মহাকরণ অভিযানে সামিল হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের উপরে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার কথা জানাতে যায়। কিন্তু সরকারি নির্দেশে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। তাই সেটা সম্ভব হয়নি।” এদিন হাসপাতাল পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম পাল, সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক খলিলুদ্দিন সরকারও। হাসপাতাল পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্রের আহ্বায়ক তথা জেলা তৃণমূল নেতা তপন নাগ জানান, দলের তরফে ২৪ ঘণ্টা ওই কেন্দ্র থেকে রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনকে পরিষেবা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “রোগীদের ওষুধ ও রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার পাশাপাশি রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চিকিৎসকদের সমন্বয় ঘটানো সহায়তা কেন্দ্রের প্রধান কাজ।” |