নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পিকনিকে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রথমে বচসা। পরে গ্রামবাসীদের হাতিহাতির জেরে ৮ জন জখম হয়েছেন। সেই সময়ে মারধরের হাত থেকে বাঁচতে তিস্তায় নেমে নিখোঁজ হন দুই ব্যক্তি। শনিবার মালবাজার থানা এলাকার গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজের দুনম্বর স্পার সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রবিবার নিখোঁজদের মধ্যে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের নাম নাদরু রায় (৫৫) এবং কোকিল রায় (১৮)। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগির নেতৃত্বে তল্লাশি চালিয়ে নাদরুর দেহ উদ্ধার করা হলেও কোকিলের খোঁজ মেলেনি। তল্লাশির জন্য সিভিল ডিফেন্সের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালবাজার থানা এলাকার ক্রান্তি ফাঁড়ির উত্তর খালপাড়ার একটি ছোট চা বাগানের কর্মী এবং শ্রমিকদের ৫০ জনের একটি দল গজলডোবায় পিকনিকে যায়। খাওয়ার সময় স্থানীয় চার জন বাইক আরোহী যুবকের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় হাতাহাতি। চেলা কাঠ দিয়ে বাইক আরোহীদের পেটানো হয় বলে গজলডোবার বাসিন্দাদের অভিযোগ। যুবকদের হেনস্থার খবর পেয়ে উত্তেজিত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে পিকনিকের এলাকায় গেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পিকনিকের দলের সাত জন তিস্তার জলে নেমে হোগলা বনে লুকিয়ে পড়েন। রাত বাড়লে তীব্র শীতে জল থেকে আর্তনাদ করতে থাকেন তাঁরা। রাত ১২টা নাগাদ মালবাজার থানার ওসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ পৌঁছে ৫ জনকে উদ্ধার করে। এরপরে পিকনিক দলের তরফে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়। রবিবার সকালে হোগলা বনের ভিতরে নৌকা দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে নাদরু রায়ে দেহ উদ্ধার হয়। কোকিল রায়ের খোঁজ মেলেনি। ক্রান্তির বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা অনিমেষ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, গজলডোবায় পুলিশি নজরদারি তেমন নেই। স্থানীয় কিছু লোকজন পিকনিকে যাওয়া দলগুলোর থেকে টাকা আদায় করছে। ওই কারণে বচসা লেগে থাকে। এ দিকে গজলডোবার স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানান, স্থানীয় যুবকেরা বাইকে যাওয়ার সময় ধূলো ওড়ে। ওই সময় পিকনিক দলটি খেতে বসেছিল। কেন এ ভাবে বাইক চালানো হচ্ছে জানতে চাইলে গোলমাল শুরু হয়ে যায়।
রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় তল্লাশি। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার ওই কাজের তদারকি করেন। পুলিশ কর্তারা জানান, নিখোঁজ অন্য ব্যক্তির খোঁজে সিভিল ডিফেন্সের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আজ, সোমবার তাঁরা আসবেন। |