নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আজ, সোমবার বিকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে উত্তরবঙ্গ উৎসব সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রবিবার জোরকদমে চলছিল ‘এক মঞ্চে হাজার কন্ঠের’ মহড়া। আচমকা মঞ্চ ভেঙে পড়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ২ জন ছাত্রী পড়ে গিয়ে জখম হয়। বাকিরা হুড়োহুড়ি করে মঞ্চ থেকে নেমে পড়ে। ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ উৎসব আয়োজক কমিটি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ঘটনার পর স্টেডিয়ামে যান।
মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে মঞ্চে উৎসবের সূচনা করবেন তার পাশে একটি মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। সেখানে হাজার জন কন্ঠ মেলাবেন। সেখানকার দুটি তক্তা খুলে গিয়েছে। সেগুলি ঠিক করার কাজ চলছে। সে রকম কিছু হয়নি। উত্তরবঙ্গ উৎসবের আনন্দে সবাই মাততে শুরু করেছেন।” মন্ত্রী জানান, মূল মঞ্চ পূর্ত দফতরের বাস্তুকাররা খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। সংলগ্ন মঞ্চটিও খতিয়ে দেখে ঠিক করার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য ও পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল। তাঁরা বলেন, “এখনও মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ চলছে। দু-এক জায়গায় তক্তা কমজোরি রয়েছে। সেগুলি চোখে পড়ায় ঠিক করার কাজ চলছে।” |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের সামনে মঞ্চ মেরামতের কাজ চলছে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
উৎসব কমিটি সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ উৎসবকে আলাদা মাত্রা দিতে এবারে এক মঞ্চে হাজার গলা মেলানোর পরিকল্পনা নিয়েছে আয়োজকরা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বেশ কয়েকদির ধরে স্টেডিয়ামে হাজার কণ্ঠের মহড়া চলছিল। সেই সঙ্গে চলছিল মঞ্চ বানানোর কাজ। পাঁচটি সিড়ির আদলে ওই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি সিঁড়িতে একশ জনের উপরে দাঁড়ানোর মতো জায়গা রয়েছে। এদিন এক হাজারের জায়গায় দেড় হাজার জন গলা মেলানোর অনুষ্ঠানের মহড়ায় যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ উঠে গিয়েছিল ওই মঞ্চ। গান গাওয়ার সময় আচমকা সাড়ে ৩টা নাগাদ তিন নম্বর সিঁড়ির মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। সেখানেই পড়ে গিয়ে ২ জন জখম হয়। বাকিরা হুড়োহুড়ি করে সেখান থেকে নেমে পড়লেও বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিনের মতো অনুষ্ঠান সেখানেই শেষ হয়।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনুষ্কা বলে, “গান গাইছিলাম। হঠাৎ করে একটি অংশ কিছুটা ভেঙে যায়। পড়ে গিয়ে হাতে একটু চোট পেয়েছি।” দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান দিলীপ সাহা। তিনি বলেন, “আমার দশম শ্রেণির মেয়েও গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল। মঞ্চ ভেঙে পড়ার খবর শুনে তাই থাকতে পারেনি। চলে এসেছি। এখন শুনছি তেমন কিছু হয়নি। মেয়ে ভাল ভাবেই বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে।” |