|
|
|
|
নিয়ম ভেঙে আরাবুলের সঙ্গে দেখা স্ত্রী-পুত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জেলে গিয়ে হাসপাতালেই ভর্তি হলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তবে হাসপাতালে জেলের পথ্যে নয়, বাড়ি থেকে পাঠানো ‘বিশেষ খাবার’ খেয়ে শনিবার আরাবুল বহাল তবিয়তেই ছিলেন। নিয়ম ভেঙে আরাবুলের স্ত্রী-পুত্রকে শনিবারই দেখা করতে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে অবশ্য রবিবার আর আরাবুলের সঙ্গে তাঁর বাড়ির লোকেদের আর দেখা করতে দেওয়া হয়নি। রবিবার দু’বেলা তাই আরাবুলকে সন্তুষ্ট থাকতে হল জেলের খাবারেই।
বামনঘাটায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার হন আরাবুল ইসলাম। দু’দিন কড়া নিরাপত্তায় সোনারপুর জেলে রাখার পরে অবশ্য অসুস্থতার কারণে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ফের বারুইপুরের এক আদালতে তোলা হয় আরাবুলকে। আদালত তাঁকে সাত দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
শুক্রবার রাতে আরাবুল আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পৌঁছলে জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। কারা দফতরের এক কর্তার কথায়, “আদালত যে বন্দির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেয়, তাঁর ক্ষেত্রে আমরা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিই। আরাবুলের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।’’ যদিও বৃহস্পতিবারই আরাবুলকে সুস্থ বলেই শংসাপত্র দিয়েছিল এসএসকেএম। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ লক-আপ বা জেলে যাতে আরাবুলকে কষ্টস্বীকার করতে না হয়, সে কারণেই তাঁকে বারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
জেল সূত্রে খবর, শনিবার আরাবুলের সঙ্গে জেলে দেখা করতে আসেন আরাবুলের স্ত্রী এবং পুত্র। দেখা করতে এসে তাঁরা আরাবুলকে খাবারও দিয়ে যান বলে অভিযোগ। জেল সূত্রে খবর, শনিবার সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনদের দেখা করার জন্য পূর্বনির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারণেই বিচারাধীন বন্দি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জেল সূত্রের খবর, তৃণমূল প্রভাবিত কারা-অফিসারদের সংগঠনের চাপাচাপিতেই আরাবুলের স্ত্রী-পুত্রকে দেখা করার অনুমতি দিতে বাধ্য হয় জেল কর্তৃপক্ষ। যদিও জেলের কর্তাদের দাবি, “শনিবার প্রজাতন্ত্র দিবস ছিল। ওই দিন কড়াকড়ি একটু কম থাকে। সব বন্দিদেরই আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়।”
এ দিনও আরাবুলের সঙ্গে দেখা করতে জেলে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্র। তবে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় এ দিন অবশ্য তাঁদের আর আরাবুলের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। ফলে, এ দিন জেলের খাবার খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভাঙড়ের এই নেতাকে। জেল সূত্রে খবর, সারা দিন হাসপাতালের ছ’নম্বর ওয়ার্ডে শুয়ে-বসেই কাটিয়েছেন ভাঙড়ের ওই নেতা। মাঝেমধ্যে টেলিভিশনে সিনেমাও দেখেছেন। জেলের এক কর্তা জানান, শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পরে আজ, সোমবার প্রয়োজনে আরাবুলকে বাইরের কোনও হাসপাতালেও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হতে পারে। |
|
|
|
|
|