|
|
|
|
শহর দাপাচ্ছে ভারী যান, নির্বিকার পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
দিন দু’য়েক আগেই ট্রাক্টরের ধাক্কায় বছর পঁচিশেক যুবক নবিউল শেখের মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছিল রঘুনাথগঞ্জ শহর। ওই ঘটনাতে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল, এর পর থেকে দিনের বেলা শহরে ঢুকবে না কোনও ভারী যান। কিন্তু দু’দিন পরেও সেই প্রতিশ্রুতির ন্যূনতমও বাস্তবায়ন হয়নি। শনি ও রবিবার ছুটির দিনেও গুজিরপুর দিয়ে বালি ও পাথরবোঝাই ট্রাক্টর ঢুকেছে শহরে। ম্যাকেঞ্জি রোড দিয়ে বেআইনি যান লছিমন, ট্রাক্টর এবং লরি সবকিছুই চলেছে আগের মতই। পুলিশ ও পুরসভা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই দু’দিনেও আগের মতই গুজিরপুর ও খড়খড়ি সেতুতে কর আদায় করে পুরসভা শহরে ভারী গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। আর যান নিয়ন্ত্রণে পুরসভা নিযুক্ত ২৭ জন ট্রাফিক গার্ড ও পুলিশকে রাস্তায় নামতেই দেখা যায়নি। |
নিষেধ অমান্য করেই চলছে ট্রাক্টর। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
সদর শহর রঘুনাথগঞ্জে ২টি হাইস্কুল ও ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কয়েক হাজার পড়ুয়ার যাতায়াতের পথ ম্যাকেঞ্জি ও দরবেশপাড়ার মসজিদ সড়ক। বাসস্ট্যান্ডে নেমে অগুনতি লোক নিত্যদিন ম্যাকেঞ্জি রোড বরাবর তাঁদের নিজ নিজ গন্তব্যে যান। ওই রাস্তার ধারেই রয়েছে অন্তত ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা। সবমিলিয়ে জমজমাট এই রাস্তায় ট্রাক-লরির দৌরাত্ম্যে নাজেহাল পথচারীরা। রঘুনাথগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন দাস বলেন, “অধিকাংশ পড়ুয়া স্কুলে আসা ও বাড়ি ফেরার জন্য ওই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। দিনের ওই দুই সময়ে আমরা আতঙ্কে থাকি।” কিন্তু পুরসভা ও স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উদাসীন। তারা একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে মরিয়া। উপ পুরপ্রধান অশোক সাহার কথায়, “যান নিয়ন্ত্রণে পুরসভা ২৭ জন ট্রাফিক গার্ড দিয়েছে পুলিশকে। তবু সেতুর উপর অটো, ট্রেকার দাঁড়িয়েই থাকছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। পুলিশকে বার বার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।” অন্যদিকে পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য চলতি মাসের ২৯ তারিখে কাউন্সিলরদের নিয়ে মিটিং ডাকা হয়েছে।” পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, “গত শুক্রবার ট্রাক্টরের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর পরও স্থানীয় পুলিশের টনক নড়েনি। যান নিয়ন্ত্রণের দায় তো তাঁদেরই।” |
|
|
|
|
|