|
|
|
|
জাতীয় স্তরে খেলায় রাজ্যের প্রতিনিধি পশ্চিমের দুই পড়ুয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল
|
জেলা স্কুল অ্যাথলেটিক মিটে সফল হয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই পড়ুয়া। তারা হল চন্দ্রকোনার তাতারপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রূপসী খাতুন ও চন্দ্রকোনা রোড সংলগ্ন নেপুরা বিজলীরানি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সৌম্যদীপ মণ্ডল। আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশের ইটাহাতে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১৪ হাই জাম্পে রূপসী ও অনূর্ধ্ব ১৯ দৌড় (৩০০০ মিটার) প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে সৌম্যদীপ। প্রতিযোগিতা চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রবিবার উত্তরপ্রদেশে রওনা দেয় দু’জনে। |
কোচের সঙ্গে দু’জন। —নিজস্ব চিত্র। |
চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের নেকড়বাগ এলাকায় বাড়ি রূপসীর। সংসারে আর্থিক কষ্ট থাকলেও বাবা শেখ সামসের আলি মেয়েকে প্রথম থেকেই খেলায় উৎসাহ দিয়েছেন। পরিবারের লোকেরাই জানান, ছোট থেকেই রূপসীর হাইজাম্পের প্রতি আগ্রহ ছিল। স্কুল, ব্লক-মহকুমা এবং জেলা স্তরে একাধিক বার হাইজাম্পে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। ২০১১ সালে রাজ্য স্তরে এবং রাজ্য যুব উৎসবে প্রথম হয়েছিল সে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে নগদ অর্থ ও স্মারক পায়। তাতারপুর হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক অরূপকুমার মণ্ডল বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্র্যাকটিসের পরও ওর উদ্যমে ভাটা পড়েনি।”
চন্দ্রকোনা রোড সংলগ্ন ধরমপুরের সৌম্যদীপ মণ্ডলও দুঃস্থ পরিবারের ছেলে। বাবা মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। দাদার সামান্য রোজগারে সংসার চলে তাদের। তা সত্ত্বেও খেলা ছাড়েনি সৌম্যদীপ। স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষিকা সোমা চক্রবর্তী বলেন, “সৌম্যদীপ আমাদের স্কুলের অহঙ্কার। ও জাতীয় স্তরে ভাল স্থান পাবেই।” দুই স্কুলের দুই ক্রীড়া শিক্ষকের সাহায্যে অ্যাথলেটিক কোচ স্বদেশরঞ্জন পানের কাছে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে রূপসী ও সৌম্যদীপ। ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যাপক তথা প্রশিক্ষক স্বদেশবাবুও বলেন, “আমার আশা দু’জনই জাতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করবে।” |
|
|
|
|
|