|
|
|
|
সেতুর কাজ অসম্পূর্ণ, দুর্ভোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কয়েক বছর আগে সেতু-সহ নতুন রাস্তার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মতো খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার হাড়কান্দি থেকে পিংলার সাঙ্গাড় পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাঙ্গাড়ের কাছে একটি খালের সেতু হল না আজও। একই ভাবে গড়বেতা ১ ব্লকের চকপার্বতী থেকে ময়রাকাটি পর্যন্ত রাস্তাটি সময়ের মধ্যে হলেও চকপার্বতীর কাছে থাকা খালের উপর সেতু তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সেতু তৈরিতে এই গড়িমসির ফলে দু’টি ক্ষেত্রেই প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। অতিরিক্ত সেই টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ আদপে হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে এলাকাবাসী।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কথা ভেবে কয়েক বছর আগে খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার হাড়কান্দি থেকে পিংলার সাঙ্গাড় পর্যন্ত রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, হাড়কান্দি থেকে সাঙ্গাড় রাস্তার উপর সেতু তৈরির জন্য ৪১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা অনুমোদন হয়েছিল। অর্থ বরাদ্দ করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, কাজ সম্পূর্ণ করতে গেলে আরও ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। একই ভাবে চকপার্বতী থেকে ময়রাকাটি রাস্তার উপর সেতু তৈরির জন্য ৪৬ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা অনুমোদন হয়েছিল। ওই সেতুর কাজ শেষ করতে আরও ২০ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা প্রয়োজন এখন। এই দুই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দু’টি প্রকল্পে অতিরিক্ত ২৬ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হয়েছে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ থেকে। বাকি অর্থ রাজ্য সরকার প্রদত্ত পুরস্কার বাবদ অর্থ থেকে।
জেলা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, “শুরু থেকেই প্রকল্পটি নিয়ে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ উদাসীনতা দেখিয়েছেন। না-হলে এ ভাবে অতিরিক্ত অর্থ লাগত না।” তাঁর কথায়, “নতুন রাস্তা তৈরির জন্যই সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। রাস্তার কাজ হয়ে গেলেও আগে সেতু তৈরির কাজ হয়নি। ফলে, স্থানীয় মানুষ প্রকল্পের সুফলই পাননি। হাড়কান্দি-সাঙ্গাড় রাস্তাটিরও সংস্কারের প্রয়োজন। সেতু তৈরি হোক, তবে আমরা রাস্তা সংস্কারেরও দাবি জানাচ্ছি। না-হলে স্থানীয় মানুষই সমস্যায় পড়বেন।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, সেতু তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। প্রয়োজনে পরে রাস্তা সংস্কারের কাজ করা যেতে পারে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু সমস্যার জন্যই আগে সেতু তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তবে নতুন করে ফের উদ্যোগ চলছে। অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বার দ্রুত কাজ শেষের সব রকম চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|