পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা দিয়ে শনিবার রাতে আরও ৪৫টি দলমার হাতি ঢুকল বাঁকুড়ার বাঁকাদহ রেঞ্জের জঙ্গলে। ঢুকেই হাতির পাল বাড়ি ভেঙে, একটি মোষকে আছড়ে, ফসলের ক্ষতি করে হামলা চালাল কলাবাগান, বকডহরা, মিত্তিসোল, ফুলবনী প্রভৃতি গ্রামে। শনিবার রাতেই দলমার ৭০ ও ময়ূরঝর্নার ২৫টি হাতি তাণ্ডব চালায় সোনামুখীর বেশে গ্রামে। হাতিরা দু’টি মুদির দোকান ও কয়েকটি ধানের মরাই ভেঙে দেয়। এলাকার ধানসিমলা, পারুলিয়া, মির্জাপুর গ্রামে ক্ষতি হয়েছে প্রচুর আলু ও ধান জমির। |
ক্ষতিপূরণ ও হাতি তাড়ানোর দাবিতে ধানসিমলা গ্রামের বাসিন্দারা রবিবার সকাল ৯টা থেকে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তা অবরোধ করেন। বন বিভাগের কর্তাদের আশ্বাসে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় অবরোধ ওঠে। সোনামুখীর রেঞ্জ অফিসার মোহন শীট বলেন, “দলমা ও ময়ূরঝর্নার প্রায় ১০০টি হাতি নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ওরা খুব ক্ষয়ক্ষতি করছে। তাড়ানোর চেষ্টা করেও পারছি না। দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও হাতি খেদানো অভিযানে নামা হবে বলে গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছে।” অন্য দিকে, বাঁকাদহে ঢোকা দলটি রবিবার সকালেই বিষ্ণুপুরের কাছে এনারবাঁধের জঙ্গলে চলে এসেছে। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “দলমার এই দলে ৪৫টি হাতি রয়েছে। ঢুকেই কলাবাগানে একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ি ভেঙেছে। মনে হয়, এই দলটিও রাতে সোনামুখীর দিকে রওনা দেবে।” |