|
|
|
|
অসমে পর পর বিস্ফোরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও ধুবুরি |
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান নিরুপদ্রবে কাটলেও কাল রাতে নামনি অসমে পরপর বিস্ফোরণ ঘটল। ঘটনার দায় স্বীকার করে পোস্টার ছড়িয়েছে পরেশপন্থী আলফা। কম শক্তির বিস্ফোরণে কেউ হতাহত না হলে, বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে ধরে বেধড়ক মারে জনতা। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে গোয়ালপাড়া এবং ধুবুরি জেলায় দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বিস্ফোরণগুলি ঘটে। আলফা প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছিল। বন্ধ ছিল সন্ধ্যা ছ’টা অবধি। ততক্ষণ কিছু ঘটেনি। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে রাত পৌনে দশটা নাগাদ লক্ষ্মীপুর এলাকার জলেশ্বর বাজারে। পরের বিস্ফোরণ চিতরাং এলাকায়, জলেশ্বরের এআইইউডিএফ বিধায়ক মইনুদ্দিন আহামেদের বাড়ির দরজায়। বোমায় কেউ হতাহত না হলেও, বোমাটি ছুড়েছে সন্দেহ করে মোটরবাইক আরোহী তিন যুবককে ধাওয়া করে জনতা। একজনকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারা হয়। নজরুল খান নামে ফকিরগঞ্জের ওই যুবক গণপ্রহারে মারা যায়। এরপর, গৌরনগর বাজারেও বিস্ফোরণের খবর আসে। তবে রাতে প্রায় জনহীন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলিতে বিস্ফোরণ হওয়ায় কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। শেষ তিনটি বিস্ফোরণ হয় ধুবুরির ফকিরগঞ্জ এলাকার মেদেরতারি বাজার, চিড়াকুটি, ও পোড়ারভিটা জনতা হাইস্কুলের সামনে।
আজ সকালে মেদেরতারি তিন আলি ও চিড়াকুটি বাজারেলাল কালিতে লেখা, গাছে লাগানো কয়েকটি পোস্টার মেলে। পোস্টারে বিস্ফোরণের দায়স্বীকার-সহ ‘সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী, অসম’-এর নাম লেখা রয়েছে। নেতা, পুলিশ-প্রশাসন ও আইন বিভাগকে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির হুমকি এবং ভোটারদের অত্যাচার না করার ‘পরামর্শ’-সহ ছড়িয়ে দেওয়া পোস্টারগুলি আদপে আলফার কী না তা নিয়ে অবশ্য পুলিশ নিশ্চিত নয়। ধুবুরির এসপি প্রদীপচন্দ্র সালোই জানিয়েছেন, গত রাতে গণপ্রহারে মৃত নজরুল খানের ভাই জহিরুল খান জলেশ্বর থেকে এআইইউডিএফ প্রার্থী হতে চেয়েছিল। দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। তাই, গোটা ঘটনার পিছনে রাজনীতি সংক্রান্ত বিবাদও থাকতে পারে, পুলিশের অভিমত। নিহত নজরুল এলাকার দাগি দুষ্কৃতী। বিস্ফোরণস্থলে কোনও গর্ত হয়নি। মিলেছে টিন ও সুতো। পুলিশের মতে, বোমাগুলি দেশি। |
|
|
|
|
|