শিন্দের দেওয়া সময় শেষ, জট খুলল না তেলেঙ্গানার
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও অল্প কিছু সময় প্রয়োজন। এই যুক্তি দিয়েই তেলেঙ্গানা নিয়ে সিদ্ধান্ত আরও এক দফা পিছিয়ে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা করা সময়সীমার মধ্যে ছাড়ানো গেল না দক্ষিণের জট।
গত ২৮ ডিসেম্বর তেলেঙ্গানা নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে ঘোষণা করেছিলেন, এক মাসের মধ্যে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেই অনুযায়ী আগামিকাল শিন্দের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগামিকাল তিনি বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন। তাই আজই চূড়ান্ত ঘোষণা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। হায়দরাবাদে তেলেঙ্গানার সমর্থক ও বিরোধী, উভয় পক্ষই রাস্তায় নেমে পড়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের অন্ধ্রের ভারপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ আজ জানিয়ে দিয়েছেন, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে আরও এক দফা আলোচনা হবে।
এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে শিন্দে ঘোষণা করে দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি হয়েছিল। উপরন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতারা পৃথক রাজ্যের দাবিতে আগামিকাল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসছেন। কিন্তু আজ আজাদ জানিয়ে দিয়েছেন, “এমন কোনও সময়সীমা নেই। আরও অল্প সময় প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যদের সঙ্গে যত শীঘ্র সম্ভব আলোচনা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পাশাপাশি উপকূলবর্তী অন্ধ্র, রায়লসীমা ও তেলেঙ্গানার কংগ্রেস নেতাদেরও দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের মধ্যেও তেলেঙ্গানাকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উপরে অন্ধ্রে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও নির্ভরশীল। গত কয়েক দিন ধরে সনিয়া গাঁধী নিজে আজাদ, শিন্দে, ভায়লার রবি, দিগ্বিজয় সিংহ ও আহমেদ পটেলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। শনিবার কংগ্রেসের কোর কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের ভয় হল, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, দলের মধ্যে বিরুদ্ধ মতের সাংসদ-বিধায়করা তাতে আপত্তি জানিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। এমনকী কিরণকুমার রেড্ডির সরকারের পতনের আশঙ্কাও রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির কাছে যে নোট পাঠানো হয়, তাতেও পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের বিরুদ্ধে মত দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য মূলত তিনটি। এক, পৃথক রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে স্থিতিশীল হবে না। দুই, এর ফলে ফের অন্ধ্রে মাওবাদী সমস্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিন, এই পরিস্থিতিতে শ্রীকৃষ্ণ কমিটির একটি সুপারিশ মেনে জিটিএ-র মতোই একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা যেতে পারে। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, এত দিন পরে আর আঞ্চলিক পরিষদের ঘোষণায় আন্দোলনকারীদের তুষ্ট করা যাবে না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.