নিরাপত্তার কারণে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল আফতাব আনসারির সঙ্গী এবং আমেরিকান সেন্টারের সামনে জঙ্গি হানার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জামিরউদ্দিন নাসিরকে। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শনিবার সন্ধ্যাতেই নাসিরকে প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আলিপুর জেলের ১ নম্বর সেলে পাশাপাশি দু’টি ঘরে থাকত আফতাব আনসারি এবং জামিরউদ্দিন। কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছিল এই দুই ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার জেলকর্মীদের একাংশের মদতে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে শুরু করে একাধিক বেআইনি কাজ করার অভিযোগ উঠছিল এই দু’জনের বিরুদ্ধে। জেলরক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে। দু’জনকে একসঙ্গে জেলে রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ঝুঁকির কথা স্বরাষ্ট্র দফতরকে আগেই জানিয়েছিলেন আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ। জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমনিতেই জেলে কারারক্ষীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তার উপরে এই জেলে সংবেদনশীল বন্দির সংখ্যাও বেশি। সেই কারণে স্বল্পসংখ্যক রক্ষী দিয়ে আফতাব এবং নাসিরের নিরাপত্তার ঝুঁকি আর নিতে পারছেন না তাঁরা। রাজ্য সংশোধনাগার দফতরের আইজি রণবীর কুমার বলেন, “ওদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আসছিল। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জামিরউদ্দিনকে কাল প্রেসিডেন্সি জেলে সরানো হয়েছে।”
জেল সূত্রের খবর, কাল সন্ধ্যা ছ’নাগাদ ‘লক-আপ’-এর পরে নাসিরের সেলে তল্লাশি চালানো হয়। তার পরেই নাসিরকে চুপিসাড়ে, কড়া নিরাপত্তায় আলিপুর জেল থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে সরিয়ে নিয়ে
যাওয়া হয়। ২০১২ সালের গোড়ায় শেষ বার আফতাবকে আলিপুর জেল থেকে বের করা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে। তার পর থেকে আফতাব এবং নাসির, কাউকেই জেল থেকে বের করা হয়নি। যদিও তাতে আফতাবদের গতিবিধি আটকে রাখা যায়নি। গত অক্টোবরেই আফতাবের বিরুদ্ধে জেলে বসে মোবাইলে করাচিতে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ ওঠার পরে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, নয়াদিল্লি এবং বিহার সরকারকে এ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, অন্য মামলায় হাজিরা দিতে আফতাবকে আর পাঠানো যাবে না। |