স্মৃতি উস্কে ফের আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ঠিক যেন ফিরে এসেছে তিন বছরের আগের বাসন্তী কলোনিতে আগুন লাগার ছবিটা। সেই পুড়ে ছাই ঝুপড়ি। ঠান্ডায় কাঁপছেন গৃহহীন মানুষ। ত্রাণ শিবিরের সামনে শিশু, মহিলাদের লম্বা লাইন। তবে তিন বছর আগের আগুনের ভয়াবহতা ছিল অনেক বেশি। পুড়ে যায় শতাধিক বস্তি। মারা যান এক জন। এ বছর ২৬ জানুয়ারির ভোরে বাসন্তী কলোনির অগ্নিকাণ্ডে ভয়াবহতা ততটা নয়। ৭৫টি ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। কোনও হতাহতের খবর নেই বলে দমকল জানিয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, ভোর ছ’টা নাগাদ খালপাড়ের ধারে একটি ঝুপড়ি থেকে আগুন লাগে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দমকলের দাবি, ঠিক সময়ে তারা কাজে না নামলে এ বারও অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়ে যেতে পারত। প্রশ্ন উঠেছে, এলাকায় হুকিং-এর জেরেই শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে কি না। দমকলের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা তপনকুমার ঘোষ অবশ্য বলেন, “সমস্ত দিকই আমরা খতিয়ে দেখছি। ফরেন্সিক রিপোর্ট পেলেই আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
|
নিখোঁজ দুই যুবকের দেহ উদ্ধার |
চিৎপুরে পরিত্যক্ত একটি ঝিল থেকে উদ্ধার হল দুই যুবকের পা-বাঁধা পচাগলা দেহ। শনিবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, ওই দু’জনকে খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ রবিবার বলেন, “স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করে জেরা করা হচ্ছে।” নিখোঁজ যুবকদের খোঁজে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর ছিল না অভিযোগে এ দিন বিকেলে ঘণ্টা দেড়েক দমদম রোড অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ জানায়, ওই দুই যুবকের নাম কৌশিক রায় (৩১) এবং অভিজিৎ সাহা (২৬)। তাঁদের বাড়ি দমদমের শেঠবাগানে। কৌশিক অভিজিতের জামাইবাবু। মুরগির মাংসের দোকান ছিল কৌশিকের। বাবা সুনীল সাহার সঙ্গে প্রোমোটারির ব্যবসা করতেন অভিজিৎ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। সুনীলবাবু জানান, ওই রাতে পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তাঁর জামাই এবং ছেলে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, দমদম স্টেশনের কাছে একটি নির্জন জায়গায় তাঁরা সকলে বসে মদ্যপান করেন। বন্ধুরা ফিরে এলেও কৌশিক ও অভিজিতের কোনও খোঁজ মেলেনি। দমদম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তাতেও খোঁজ না-মেলায় ভবানীভবনে সিআইডি দফতরেও যান সুনীলবাবু। স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার চিৎপুরের ওই রেল ইয়ার্ড চত্বরে পরিক্ত্যক্ত ঝিলে দেহ দু’টি মেলার পরে স্থানীয় বাসিন্দরাই সুনীলবাবুকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সুনীলবাবু পরে দেহ দু’টি শনাক্ত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই যুবককে যাঁদের সঙ্গে শেষবার দেখা গিয়েছিল, তাঁদের খোঁজ চলছে।
|
রাতের খাবার কিনতে এসে কটূক্তি করা হয়েছিল দুই তরুণীকে। বিষয়টি টহলদার পুলিশের নজরে পড়তেই হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন দুই অভিযুক্ত। শনিবার রাতে, কসবা থানা এলাকার রুবি পার্কে। ধৃতদের নাম গুড্ডু পটুয়া এবং অরুণ দাস। তাঁরা গড়িয়াহাট এলাকায় হকারি করেন।পুলিশ জানায়, অভিযোগকারিণী তরুণী এসআরএফটিআই-এর ছাত্রী। শনিবার রাত বারোটা নাগাদ এক বান্ধবীকে নিয়ে রুবি পার্কের কাছে দোকানে রুটি কিনতে এসেছিলেন তিনি। তখন গুড্ডু ও অরুণ তাঁদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণীরা। সে সময়ে কসবা থানার এক অফিসার বিষয়টি দেখতে পান। পুলিশের দাবি, তিনিই ওই দুই যুবককে পাকড়াও করেন। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গুড্ডু ও অরুণকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের একাংশের দাবি, দিল্লি-কাণ্ডের পরে শহরের নানা প্রান্তে পুলিশি নজরদারি শুরু হয়েছে। তার ফলে রাস্তাঘাটে মহিলাদের কটূক্তিকারীদের হাতেনাতে ধরা যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বেহালা এলাকায় সাদা পোশাকে নজরদারি চালিয়ে এক ইভটিজার ধরা পড়েছিল। শনিবার রাতের ঘটনাও একই রকম তৎপরতার ফল বলে পুলিশের দাবি।
|