নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দুষ্কৃতীর গুলিতে এক যুবকের গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা নিয়ে অশান্তি হল আসানসোলের চাঁদমারি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশরে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়লেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ মানেনি। শনিবার দুপুরের এই ঘটনায় গুলি চালানোয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত যুবককে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত আকবর খান শনিবার সকাল থেকেই স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে গোলমাল পাকাচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ জামিল আকবরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আকবর জামিলকে মারধর শুরু করেন। তা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জামিলের ভাগ্নে আফতাব আলম। কেন সে তাঁর মামাকে মারধর করছে, এ কথা জিজ্ঞাসা করতেই আকবর আফতাবকে লক্ষ করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গায়ে গুলি লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আফতাব। আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে আসতেই আকবর চম্পট দেয়।
আফতাবকে এলাকার মানুষজনই হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তার পরে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল (উত্তর) থানার পুলিশ। ক্ষুব্ধ জনতা আকবরকে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে ধরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যান আসানসোল-দুর্গাপুরের এসিপি (সেন্ট্রাল) অজয় প্রসাদ। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে। ওই দিন বিকেলে এসিপি জানান, আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবারের এই ঘটনার জন্য পরোক্ষে পুলিশকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। মাঝেমধ্যেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ আগের মতো এলাকা জুড়ে নিয়মিত টহলদারি করছে না। ফলে দুষ্কৃতীদের সাহস বেড়েছে। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, শনিবারের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আকবরও এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত। গত কয়েক মাস ধরে সে-ও অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশকে এ কথা জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। শনিবার দুপুরে তাই সে রিভলবার বের করে সটান গুলি চালানোর সাহস পেয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি।
যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পরে তড়িঘড়ি পুলিশ আকবরকে গ্রেফতার করে। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুলিশ না মানলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। |