নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
কারখানা, হাসপাতালে ‘দাপিয়ে বেড়ানো’ নেতা অসীম প্রামাণিক ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেন দুর্গাপুরে। জয় বালাজির ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে চাপে রাখতে রীতিমতো আইএনটিটিইউসি-র নাম করে পোস্টার সাঁটিয়ে।
|
অসীম প্রামাণিক।
—নিজস্ব চিত্র |
আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব অবশ্য আগের মতোই অসীমবাবুকে তাদের লোক বলে মানতে চায়নি। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, জয় বালাজির ইস্পাত কারখানায় অসীমবাবুর যে সংগঠন রয়েছে, সেটির অনুমোদনই নেই। অসীমবাবু পাল্টা অভিযোগ করেন, প্রভাতবাবুই আইএনটিটিইউসি-র মধ্যে দ্বন্দ্বে মদত দিচ্ছেন।
দুর্গাপুর আদালত চত্বর-সহ কয়েকটি জায়গায় শনিবার সকালে দেখা যায়, জয় বালাজির কারখানায় আইএনটিটিইউসি-র স্থায়ী কর্মী ও ঠিকা কর্মীদের দু’টি সংগঠনের নামে বেশ কিছু পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। দু’টি সংগঠনেরই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম রয়েছে অসীমবাবুর। তাতে সময়মতো বেতন দেওয়া-সহ নানা দাবির সঙ্গে কারখানার আধিকারিকদের হেনস্থায় অভিযুক্ত শ্রমিকদের উপর থেকে সাসপেনশন তোলার দাবিও জানানো হয়েছে। অসীমবাবুর বক্তব্য, “দাবি না মানা হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
১৫ ডিসেম্বর কারখানায় অসীমবাবুর নেতৃত্বে কয়েক জন আইএনটিটিইউসি সমর্থক বিক্ষোভের নামে আধিকারিকদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সেই রাতেই নিজের আবাসনে মুখঢাকা কয়েক জন দুষ্কৃতীর হাতে প্রহৃত হন কারখানার এক জেনারেল ম্যানেজার। এই ঘটনায় কারখানা গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। পরে প্রশাসনের কর্তা ও তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে মত বদলান তাঁরা। তবে অসীমবাবু এবং কারখানার তিন স্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে আধিকারিকদের হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁরা আগাম জামিন নেন। ওই তিন কর্মীকে সাসপেন্ড ও অসীমবাবুর কারখানায় ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তাতে দমে যাননি অসীমবাবু। এর ঠিক পরেই দলবল নিয়ে শহরের একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আইএনটিটিইউসি-র পতাকা টাঙিয়ে নানা দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তিনি। |