নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডবেশ্বর |
কৃষিমেলায় তাদের দলের স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা পঞ্চায়েত প্রধান, কারও মতামতই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলল সিপিএম।
২৬ জানুয়ারি, শনিবার থেকে কৃষিমেলা শুরু হয়েছে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে। সিপিএমের বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ও ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সভাপতি নিরুপমা রায়ের অভিযোগ, ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁদের পৃথক ভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সেখানে তাদের নাম ছিল না। আরও অভিযোগ, অনুষ্ঠানে তাঁদের যুক্তও করা হয়নি। গৌরাঙ্গবাবু কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটককে ও নিরুপমাদেবী মহকমাশাসক ও কৃষি অধিকর্তার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। গৌরাঙ্গবাবু বলেন, “২৫ জানুয়ারি কৃষিমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। আমাদের বক্তব্য, কৃষিমেলা হল। অথচ বিধায়ক, সমিতির সভাপতি, স্থানীয় কোনও গ্রাম প্রধানেরই মতামত নেওয়া হল না। এলাকার কৃষিক্ষেত্রে সমস্যা এবং সম্ভাবনা জনপ্রতিনিধিরাই সবথেকে ভালো জানেন। তাঁদের যুক্ত না করে এই মেলা আখেরে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।” একই রকম বক্তব্য নিরুপমাদেবীরও।
রবিবারও জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর ব্লকের কোড়াপাড়া মাঠে এবং পুর এলাকা নজরুল শতবাষির্কী ভবনে পৃথকভাবে দু’টি কৃষিমেলা আয়োজিত হয়। এই দু’টি মেলারও উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক। বাহাদুরপুরের মেলাতেও দেখা যায়নি জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারাধন গোপদের। তাঁদের অবশ্য বক্তব্য, সময় পাননি বলেই যেতে পারেননি তাঁরা।” তবে নজরুল শতবার্ষিকী ভবনে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে সিপিএমের জামুড়িয়া পুরপ্রধান ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভাস্করবাবু অবশ্য বলেন, “পুরসভাকে ওরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। তাছাড়া পুরসভার স্টলও এদিন মেলায় ছিল।” মলয়বাবু বলেন, “জামুড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান এসেছেন। কিন্তু বাকিরা এলেন না কেন, তা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
এ দিন অবশ্য অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে মেলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে বাহাদুরপুরের মেলায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জামুড়িয়ার কৃষি অধিকর্তা রূপচাঁদ বাস্কীর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রূপচাঁদবাবু জানান, বিষয়টি জানতে পেরেই ওই সংযোগ ছিন্ন করে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” |