টুকরো খবর
কিছু প্রার্থীর মামলায় ফের জট প্রাথমিকে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক আইনি জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যে-সব আবেদনকারী ২০০৪-’০৫ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, এ বার তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন। অভিজিৎ মণ্ডল-সহ ২৫ জন আবেদনকারী আদালতে জানান, ২০০৬ সালে হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের ১২৪টি প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্র এবং বিএড কলেজকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। কারণ ওই সব প্রতিষ্ঠানে এনসিটিই-র অনুমোদন ছিল না। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়। এনসিটিই জানায়, হাইকোর্ট বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রকে অবৈধ বলে রায় দেওয়ার আগে যাঁরা এক বছরের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের সেই যোগ্যতা বৈধ। বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে এনসিটিই-র সেই নির্দেশ দেখিয়ে আবেদনকারীরা বলেন, তাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। টেট-এর জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চ একটি রায়ে বলেছে, টেট-উত্তীর্ণদের জন্য দু’টি পৃথক তালিকা তৈরি করতে হবে। একটি প্রশিক্ষিতদের, অন্যটি বাকিদের। প্রশিক্ষিতদের তালিকার সকলে নিযুক্ত হওয়ার পরেও পদ শূন্য থাকলে অন্য তালিকা থেকে নিয়োগ করা যাবে। প্রশিক্ষিতদের তালিকায় তাঁদেরও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে আর্জি জানান আবেদনকারীরা। বিচারপতি এনসিটিই-র বক্তব্য জানতে চান। এনসিটিই-র পক্ষে আইনজীবী আশা গুটগুটিয়া বলেন, ২০০৪-’০৫ সালের প্রশিক্ষণ বৈধ বলে হাইকোর্টও ২০১০ সালে রায় দিয়েছিল। এনসিটিই-ও জানিয়েছে, ওই বছরের প্রশিক্ষণ বৈধ। বিচারপতি ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেন। চূড়ান্ত রায় হবে মার্চের প্রথমে।

পুলিশে অস্ত্রের খতিয়ান তলব
রাজ্যে কেন্দ্রের টাকায় কত অস্ত্র কেনা হয়েছে, সেগুলো কারা পেয়েছেন, পুলিশের আধুনিকীকরণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে হবে ডিজি-কে। যশোবন্ত রক্ষিত নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা জনস্বার্থের মামলার শুনানির পরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি শুক্লা কবীরের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে জনগণ-পুলিশ অনুপাত অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম। এখানে শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এই রাজ্য তিনটি দেশের সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত। যে-কোনও সময়েই এখানে সন্ত্রাসবাদী ও মাওবাদী হামলা হতে পারে। অথচ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় রাজ্য সরকার উদাসীন! কেন্দ্রের আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য এই রাজ্যকে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই টাকার যে সদ্ব্যবহার হয়নি, রোজই তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যে নারী-নির্যাতন বাড়ছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মানুষ। অন্য এক আবেদনকারীর আইনজীবী কার্তিক কাপাসের অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকায় আধুনিকীকরণের কাজ কতটা হয়েছে, তা জানতে চেয়েও রাজ্যের উত্তর পাওয়া যায়নি। তাঁর আর্জি, পুলিশের আধুনিকীকরণের টাকা ওই খাতে খরচ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করুক হাইকোর্ট।

শীতের ব্যাটে ফের চার-ছয়
প্রবল বিক্রমেই নতুন ইনিংস চালিয়ে যাচ্ছে শীত। বীরভূমের পরে ফের শৈত্যপ্রবাহের তালিকায় নাম উঠল বাঁকুড়ারও। হাওয়া অফিসের খবর, বৃহস্পতিবার বীরভূমের শ্রীনিকেতন এবং বাঁকুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬.৮ এবং ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’টিই স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ডিগ্রি কম। তবে কলকাতার ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোনও সতর্কবার্তা নেই। মহানগরে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মিলিয়ে দু’বার শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গ। ৮ জানুয়ারি মহানগরীর তাপমাত্রা টেক্কা দিয়েছিল লন্ডনকে। আবহবিদেরা জানান, উত্তর ও মধ্য ভারতের একাংশে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিহারেও। আগামী কয়েক দিন ওই সব রাজ্যে দাপট চলবে শীতের। ওই সব এলাকার শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে এ রাজ্যেও। পারদ নামছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তবে আজ, শুক্রবার ওখানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

ভয় দেখিয়ে ধৃত
জোরে মোটরবাইক চালানো এবং খেলনা পিস্তল দেখিয়ে পুলিশ অফিসারকে ভয় দেখানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার বৌবাজারে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, ইরফান হায়দার নামে ওই যুবক খুব জোরে মোটরবাইক চালাচ্ছিল। মোটরবাইকে সাইলেন্সার পাইপ না-থাকায় বিকট আওয়াজে পথচারীরা ঘাবড়ে যান। পুলিশ অফিসার তাকে থামিয়ে নথি দেখতে চাওয়ায় সে খেলনা রিভলভার উঁচিয়ে ভয় দেখায়। লোকজন এগিয়ে আসায় সে ধরা পড়ে। মোটরবাইকটিও আটক করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.