ভাল নেই শরীর, মানলেন ক্লান্ত মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শরীরটা ভাল যাচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ক’দিন আগেই জ্বর হয়েছিল। তাই নিয়েই জেলায় জেলায় ঘুরেছেন। বৃহস্পতিবার নিজেই ফের বলে ফেললেন, “শরীরটা ভাল নেই!”
এ মাসের গোড়ায় জ্বরের জন্য এক দিন অফিস করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। জেলা সফরের কর্মসূচিতেও তার জন্যে কিছুটা রদবদল করতে হয়। সে সময় রাজ্য জুড়ে হাড়কাঁপানি শীতও পড়েছিল। মমতা রাজ্যবাসীদের বারবার বলছিলেন, ঠান্ডা লাগাবেন না। বলছিলেন, কী ভাবে জ্বর নিয়েই বর্ধমান যাচ্ছেন তিনি। পরের দু’সপ্তাহে অবশ্য ছিলেন চেনা ছন্দেই। বর্ধমান থেকে তেহট্টে ‘মিনি মহাকরণ’ নিয়ে গিয়ে প্রকল্প ঘোষণার সভাও করে এসেছেন। গত কয়েক দিনে একাধিক সভায় দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। |
কিন্তু এ সব যে তাঁর শরীরে দিচ্ছে না, সেটা এ দিন লুকোতে পারলেন না। বিধানসভায় পরিষদীয় সচিব পদে ১৩ জনকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পরে নিজের মুখেই বলেন, “খুব ক্লান্ত লাগছে। ঘুম পাচ্ছে।”
দিন দুই আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তার আগের দিন দলীয় সভায় মমতা বলেছিলেন, তিনি দিনে ২২ ঘণ্টা কাজ করেন, ঘুমোন দু’ঘণ্টা। সূর্যবাবু সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, “২৪ ঘণ্টায় দু’ঘণ্টা ঘুমোলে তাঁর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য কখনওই সুস্থ থাকতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বিশ্রাম নেওয়া। আমরা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য শুভকামনা জানাই।” বিরোধী দলনেতার সে দিনের বক্তব্যে অনেকেই শ্লেষ খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যে বাস্তবিকই অসুস্থ এবং তাঁর বিশ্রাম প্রয়োজন, মমতা নিজেই এ বার কবুল করলেন। বললেন, “দু’দিন বিশ্রাম নিতে পারলে ভাল হত। কিন্তু কাজের যা চাপ!”
সন্ধ্যায় মহাকরণ থেকে বেরোনোর পথে স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হল তাঁকে। মমতার জবাব, “কী করব! গাড়ির কাচ তুলে যেতে পারব না। বাইরে দাঁড়ানো লোকের শুভেচ্ছার উত্তর দিতে হয়। শীতকালে ঠান্ডা হাওয়া লাগে। গরমে ধুলোবালি।” |