হরিপালের দ্বারহাট্টা পঞ্চায়েতের অধীন কনকপুর (উত্তর ও দক্ষিণ) একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই গ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় হাই-মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু বিকাল কেন্দ্র এবং অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল রয়েছে। এই সব জায়গা থেকে রোজ বহু ছাত্রছাত্রী, মুমূর্ষু রোগী এবং সাধারণ মানুষকে হরিপাল ও দূরবর্তী শহরে যেতে হয়। কনকপুর গ্রামটি হরিপাল স্টেশন থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু গ্রামের সংযোগকারী রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। বর্ষায় বেশ কিছুটা অংশ ডুবে যায়। সংস্কারের জন্য একাধিকবার মাপজোক করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। হরিপাল থেকে গজার মোড় (ভায়া কনকপুর, বড়ম্বা, কৃষ্ণবল্লভবাটি, কামরাজপুর ও জগজীবনপুর) পর্যন্ত ওই রাস্তাটি যাতে পাকা অথবা ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ব্লক আধিকারিক, পঞ্চায়েত প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |
মহম্মদ রাইহান মোল্লা। কনকপুর, হুগলি। |
হুগলি জেলায় ১৭ এবং ১৮ নম্বর বাসরুট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী জেলাসড়ক। ‘চুঁচুড়া-তারকেশ্বর’ ও ‘চুঁচুড়া-হরিপাল’ জেলা সড়কের চুঁচুড়া থেকে ফিডার রোড পর্যন্ত অভিন্ন। এই অংশের গোটু থেকে মাকালপুর দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঘিয়া নদীর উপরে সেতুটি ভগ্নপ্রায়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হওয়ার পর থেকে এই সেতুর উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বেড়েছে। যার ফলে সেতুটির অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ১৮ নম্বর রুটের বেলমুড়ি স্টেশন থেকে ভাণ্ডারহাটি পর্যন্ত এবং ১৭ নম্বর রুটের ধনিয়াখালি হল্ট থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত রাস্তায় পিচ উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। পূর্ত দফতর (সড়ক) ও জেলা পরিষদের কাছে আবেদন, ওই সেতু ও রাস্তা মেরামতির ব্যবস্থা করা হোক। না হলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাবে। |
লক্ষ্মণ সাঁতরা। দাদপুর, হুগলি।
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা নেই |
আমতার রসপুর প্রাথমিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সব দিক থেকে অবহেলিত। রসপুর, কলিকাতা, ভোজাল, থলিয়া প্রভৃতি গ্রামের মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নেই। অন্তর্বিভাগে কাজ হয় না। বেলা ১টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় বহির্বিভাগ। ওই সময়ের পরে কোনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষকে নিয়ে যেতে হয় আমতা বা আমরাগড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। অথচ রসপুরেই আছে ছেলে ও মেয়েদের হাইস্কুল। আছে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। পড়ুয়ারাও যদি দুপুরের পরে কোনও কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তা হলে রসপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা পায় না। অথচ, এক সময়ে এখানে বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ দুই-ই চালু ছিল। পাওয়া যেত ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা। পরিকাঠামো থেকেও সে সব পরিষেবা এখন আর মেলে না। এখানে স্থায়ী চিকিৎসক ও ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চাই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। |
দীপঙ্কর মান্না। চাকপোতা, আমতা। |
তারকেশ্বর রেল স্টেশন-সংলগ্ন পুরনো বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকায় ঝুপড়িগুলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে মদের ঠেক। মদ্যপদের অশালীন আচরণ এলাকার পরিবেশকে দূষিত করছে। |
৬৯ নম্বর রুটে এনসি পাল পোলে একটি রিকশা স্ট্যান্ড খুবই জরুরি। তা হলে বহু মানুষ এই রাস্তায় যানবাহন থেকে নেমে রিকশা ধরে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। |
জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণ দুইল্যা, আন্দুল। |
জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই মধ্যযুগের পুথি সাহিত্যের পথিকৃৎ শাহ গরিবুল্লাহ মাজার। প্রতি বছর বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে এখানে প্রচুর মানুষ আসেন। পঞ্চায়েত অফিসের কাছে নাইকুলিতে এ জন্য ভিড় হয় প্রচুর। ফুরফুরাশরিফ-মুন্সিরহাট রুটে ট্রেকার চালু করলে এই সব ধর্মপ্রাণ মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁদের যাতায়াত অনেকটাই সহজসাধ্য হবে। এ জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তা ছাড়া, নাইকুলিতে মাজারের সামনে পাকা মসজিদের পাশে একটি যাত্রী বিশ্রামাগার করলেও ভাল। |
আবুল ফতেহ কামরুদ্দিন। চাঁদবাটি, হুগলি। |