আন্তর্জাতিক বাইক পাচার চক্রের এক পাণ্ডা-সহ দু’জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে হাবরা থানার পুলিশ স্থানীয় চোংদা মোড় এলাকা থেকে তাদের ধরে। ধৃতদের একজনের নাম সুকুমার দাস। বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। অন্যজন গোপেশ মণ্ডলের বাড়ি বসিরহাটের স্বরূপনগরের নতুনপাড়ায়। তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই বাইক, বাইক সারাইয়ের সরঞ্জাম, স্প্রে আটক করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ১১ কিলোগ্রাম গাঁজাও। দীর্ঘদিন ধরেই চক্রটি সক্রিয় ছিল। হাবরা থানার এক পুলিশ অফিসার জানান, আন্তর্জাতিক এই চক্রের পাণ্ডা সুকুমার এ দেশে পাঁচ বছর ধরে বাইক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তাকে জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
পুলিশের দাবি, জেরায় সুকুমার স্বীকার করেছে যে সে এখনও পর্যন্ত পাঁচশোটি বাইক বাংলাদেশে পাচার করেছে। কী ভাবে সে কাজ করত? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের সীমান্ত দয়ে চোরাপথে সুকুমার ও তার সাগরেদরা এ দেশে ঢোকে। তার পর এখানকার বাইক চোরদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। এই সব বাইকচোরেরা মূলত কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইক ছিনতাই বা চুরি করে স্বরূপনগরে নিয়ে এসে সুকুমার ও তার দলবলের হাতে তুলে দিত। এর পরে ওই সব বাইক তারা বনগাঁ ও বসিরহাটের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদশে পাচার করত। একটি বাইক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বাইকচোরদের কাছ থেকে কিনে নিত সুকুমাররা। বাংলাদশে তা ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করত। কখনও পাটখেতের মধ্যে দিয়ে, কখনও ইচামতী নদীতে থাকা কচুরিপানার তলা দিয়ে বাইক পাচার করত তারা। কখনও কখনও বাইকের পিছনে কোনও মহিলাকে বসিয়ে সীমান্তে বিএসএফকে ফাঁকি দিত তারা। পাচারের জন্য বাইক প্রতি সুকুমার পেত পাঁচশো থেকে হাজার টাকা। অনেক সময় পুরো বাইকের বদলে যন্ত্রাংশ খুলেও পাচার করত তারা।
সীমান্ত পারের বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, বিএসএফের জওয়ানদের একাংশের সঙ্গে এই সব পাচারকারীদের যোগসাজশ রয়েছে। |