‘দালালে’র ফোনে আড়ি পেতে উত্তরপাড়া হোম থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই মহিলাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি যৌন পল্লি থেকে ধৃত ওই দুই মহিলাকে বুধবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের এক জনের বাড়ি নদিয়ার চাকদহে। অন্য জনের বহরমপুরে।
বেশ কিছু দিন আগে মুম্বইয়ের বিভিন্ন যৌন পল্লি থেকে উদ্ধার করে আনা কয়েক জন মহিলাকে আদালতের নির্দেশমতো উত্তরপাড়া হোমে রাখা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে হোমের জানলা ভেঙে তাঁদের মধ্যে ১১ জন পালান। ওই ঘটনায় পুলিশের ঘুম ছুটে যায়। হোমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই মহিলারা যে শুধুমাত্র নিজেদের চেষ্টায় পালাতে পারেন না, এ ব্যাপারে এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে কিছু দিন পরে অজয় দেবনাথ নামে এক ‘দালাল’কে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থেকে ধরা হয়। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁর ফোনে আড়ি পেতে নিশ্চিত হয়ে যান, ওই মহিলাদের অনেকে মুম্বই ফিরে গিয়েছেন। চলতি মাসের ১৬ তারিখে আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি উত্তরপাড়া থানা থেকে ৬ জনের একটি দলকে মুম্বই পাঠান। এর আগে ভি কে মার্গ থানা এলাকার যে সব যৌন পল্লিতে ওই মহিলাদের পাওয়া গিয়েছিল, প্রথমে পুলিশের দলটি সেখানে হানা দেয়। তবে, কাউকে পায়নি। শেষ পর্যন্ত অজয়ের মোবাইল মারফত পুলিশ সেখানকারই অন্য কয়েকটি যৌন পল্লির হদিস পায়। হোম থেকে পালানো অন্তত ৩ জন সেখানে রয়েছেন বলে তাঁরা জানতে পারেন। এর পরে সেখানে হানা দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। আদালত ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসার অনুমতি দেয়।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে মহিলাদের হোমে রাখা হয়েছিল। সেই নির্দেশ অমান্য করার অপরাধেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
তদন্তকারীদের দাবি, অজয় স্বীকার করেছে, ওই হোম থেকে বাইরে আসার পরে তিন মহিলাকে সে ২০০০ টাকা করে দেয়। |