ঘুরপথে বাড়ছে মোবাইলের খরচ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ বাড়ছে। তবে আপাতত ঘুরপথে। গ্রাহক টানতে টেলি সংস্থাগুলি বিনামূল্যে বা কম পয়সায় বেশি সময় ধরে কথা বলার মতো নানা সুযোগ দেয়। যা বাজারে ‘প্রমোশনাল বেনিফিট’ বলে পরিচিত। বাড়তি খরচ সামলাতে নাজেহাল সংস্থাগুলি সে সবই কমাচ্ছে। বুধবার এয়ারটেল জানিয়েছে, “সরাসরি মাসুল পরিবর্তন হয়নি। তবে বেশির ভাগ সার্কেলে বিভিন্ন সুবিধা কমিয়েছি।” সংস্থা না জানালেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তারা বিনামূল্যে কথা বলার খরচ ২৫% পর্যন্ত কমিয়েছে। ভাউচারের দাম ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কমেছে বিশেষ ‘পাওয়ার কার্ড’-এ কম পয়সায় কথা বলার দিনের সংখ্যাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, আইডিয়া-ও ধাপে ধাপে ওই ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করছে। আগামী সপ্তাহে আর্থিক ফল প্রকাশিত হবে বলে এ দিন মুখ খুলতে চায়নি তারা। তবে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে কতটা ছাড় বন্ধ করা হল বা ফোনের খরচ বাড়ল, সেই তথ্য দিতে চায়নি কোনও সংস্থা। সুবিধা ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে ভোডাফোন-ও।
|
আর্থিক সংস্কার চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সিঙ্গাপুরে আশ্বাস চিদম্বরমের
সংবাদসংস্থা • সিঙ্গাপুর |
বিদেশি লগ্নি টানতে এশিয়া-ইউরোপ সফরে বেরিয়ে পি চিদম্বরম আজ পা রাখলেন সিঙ্গাপুরে। প্রায় ৩০০টি আর্থিক সংস্থার সামনে তিনি সংস্কারের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার কথাই ফের জানান। তিনি বলেন, “সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিমা ও পেনশন বিল পাশ হওয়া নিয়ে আমি আশাবাদী।” এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে রফায় পৌঁছনোর প্রচেষ্টা চলছে বলে তাঁর ইঙ্গিত। তবে এ দিনই জানা গিয়েছে, নভেম্বরে ভারতে বিদেশি লগ্নি দু’বছরে সবচেয়ে কমে হয়েছে ১০৫ কোটি ডলার। অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৪-এর ভোটের পর কেন্দ্রে স্থিতিশীল সরকার না-এলে তা সংস্কারে বাধা হবে।
|
আইএনজি বৈশ্য
সংবাদসংস্থা • আমস্টারডাম |
বিমা সংস্থা আইএনজি বৈশ্যয় নিজেদের ২৬% অংশীদারি বিক্রি করছে ডাচ সংস্থা আইএনজি। ভারতীয় সংস্থা এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজকেই তা বিক্রি করা হবে। এশিয়া জুড়েই বিমা ও লগ্নি পরিচালন ব্যবসা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএনজি। যার অঙ্গ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত।
|
বিমান টিকিটে লেনদেন ফি রদ |
টিকিট বেচলে এজেন্টদের কমিশনের বদলে চালু হয়েছিল ‘ট্রানজাকশন ফি’। টিকিট-মূল্যের অংশ হিসেবে সেই টাকা যাত্রীদের কাছ থেকেই নেওয়া হত। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রায়ে দিয়েছে, এই ফি আর নেওয়া যাবে না। বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে এ ব্যাপারে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত ১৭ ডিসেম্বর ডিজিসিএ-ই এমন একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু সেই নির্দেশিকা মানা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এক এজেন্টের কথায়, “এত দিন ট্রানজাকশন ফি হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নেওয়া হত। সেটা বন্ধ হলে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হবে। সেটা আর টিকিটের দামের মধ্যে দেখানো হবে না, এই যা। হরেদরে তো একই হল!” |