বাঁকুড়া জেলার ১৫টি কলেজে আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি জিতে গিয়েছিল। যে দু’টি কলেজে নির্বাচন হল, সেই শালডিহা কলেজ ও বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজেও টিএমসিপি-র জয় অব্যাহত রইল। রবিবার শালডিহা কলেজের ২৪টি আসনে নির্বাচন ছিল। সব আসনেই টিএমসিপি-র প্রার্থীরা জেতে। গতবার টিএমসিপি-র দখলে ছিল ১৭টি কলেজে। এ বারও তাই। এসএফআই গত বার শুধু ছাতনা কলেজে জিতেছিল। এ বার প্রশাসক নিয়োগ হওয়ায় ওই কলেজে নির্বাচন হয়নি। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তীর দাবি, “টিএমসিপি-র সন্ত্রাসের জেরে অধিকাংশ কলেজে আমরা প্রার্থী দিতে পারেনি। শালডিহা কলেজেও ওরা নীরব সন্ত্রাস চালায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রার্থীরা যে লড়াই করেছেন, তাতে আমাদেরই নৈতিক জয় হয়েছে।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “ওঁরা তো প্রার্থীই পায়নি। দু’টি কলেজে তো সুষ্ঠু ভাবেই নির্বাচন হয়েছে। সেখানেও আমরাই জিতেছি।” অন্য দিকে, পুরুলিয়ার পাঁচটি কলেজের অমীমাংসিত ভোটের ফল প্রকাশিত হল। ঝালদা অচ্ছ্রুরাম স্মৃতি কলেজ, পুরুলিয়া জগন্নাথ কিশোর কলেজ ও লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজে অমীমাংসিত আসনগুলিতে টিএমসিপি জেতে। তিনটি কলেজে আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় টিএমসিপি জিতে গিয়েছে। কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজের অমীমাংসিত থাকা আসনটি টিএমসিপি পেলেও আগেই ছাত্র সংসদ গিয়েছে এসএফআই-র দখলে। জটিলতা তৈরি হয়েছে বাঘমুণ্ডির সুইসা নেতাজি সুভাষ কলেজে। অমীমাংসিত থাকা তিনটি আসন টিএমসিপি, ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র ব্লক একটি করে পেয়েছে। মোট ১২টি আসনের মধ্যে টিএমসিপি ৬টি, ছাত্র পরিষদ ৫টি ও ছাত্র ব্লক ১টি আসন পায়। ফলে ছাত্র সংসদ কারা দখল করবে, তা স্পষ্ট হয়নি।
|
চালকলের বয়লার ফেটে মৃত্যু হল এক মহিলা শ্রমিকের। গুরুতর চোট পায় চালকল মালিকের বছর ছয়েকের ছেলে। রবিবার দুপুরে বাঁকুড়া সদর থানার গোড়াবাড়ি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃত শ্রমিক পুটনি বাউরি-র (২৫) বাড়ি ওই এলাকাতেই। জখম শিশুর নাম স্বদেশ পাল। তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা বয়লারটি হঠাৎ ফেটে গেলে সেখানে কর্মরত পুটনিদেবী ও পাশে থাকা স্বদেশের উপর ইট ছিটকে আসে। দু’জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। |