কংগ্রেসের থানা ঘেরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এবিজি কাজহারাদের জেলবন্দি করার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস। রবিবার হলদিয়ার নন্দরামপুর থেকে সুতাহাটা থানা পর্যন্ত মিছিল করার পরে থানা ঘেরাও হয়। এবিজি -র কাজহারা শ্রমিকদের পাশাপাশি জেলবন্দি শ্রমিকদের পরিজনেরাও ছিলেন কর্মসূচিতে। নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা।
হলদিয়া বন্দরের পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি বিদায়ের পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস।এবিজি বিতাড়নের পিছনে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকে অভিযুক্ত করে কাজহারা শ্রমিকদের একাংশ সুতাহাটায় নন্দরামপুরে অবস্থান -বিক্ষোভ করেছ সেই সময় থেকেই। পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের পাশে দাঁড়ানোয় জোরালো হয়েছে আন্দোলন। গত সপ্তাহে বেঙ্গল লিডস ২ উদ্বোধনের দিনে কাজের দাবিতে মিছিল করতে গেলে কাজহারা শ্রমিকদের উপরে লাঠি চালায় পুলিশ। |
|
থানার সামনে বিক্ষোভ জেলবন্দিদের পরিজনের। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
আন্দোলনকারী শেখ সিরাজ -সহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন জন ছাড়া পেলেও আদালতের নির্দেশে আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন আরিফ আহমেদ, নূর আলম -সহ ১৪ জন কাজহারা শ্রমিক। এ দিন দুপুরে সেই ঘটনারই প্রতিবাদে জেলবন্দি কাজহারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নন্দরামপুর থেকে মিছিল করে সুতাহাটা থানা ঘেরাও করেন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। জেলবন্দি সামসাদ খানেরা মা কমোর সুলতানা বলেন, “পুলিশ নির্বিচারে লাঠি পেটা করে অকারণে আমাদের ছেলেদের গ্রেফতার করেছে। রাজনৈতিক চাপে পড়েই পুলিশ এই সব করছে।” এ দিন প্রায় ঘণ্টাখানেক থানা ঘেরাও করায় পর আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি দিতে যান। অনুমতি না -থাকায় অবশ্য তা নিতে অস্বীকার করেন থানার ওসি। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কণিষ্ক পণ্ডার অভিযোগ, “সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ সুপারের ভূমিকা নেওয়াতেই এই সব চলছে। কাজহারাদের কাজের দাবিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাব।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। উল্টে তিনি বলেন, “বেআইনি ঘেরাওয়ের জন্যও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|