|
|
|
|
পটাশপুরে অভিযুক্ত তৃণমূল |
স্কুলে ভাঙচুর চালিয়ে শিক্ষকদের তালাবন্দি |
নিজস্ব সংবাদাদাতা • এগরা |
ঠিকমতো ক্লাস না -হওয়া, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি -সহ নানা অভিযোগ তুলে স্কুলে ভাঙচুর চালালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা। পরে শিক্ষকদের তালাবন্দি করে মারধরের হুমকিও দেন তাঁরা। পটাশপুর ১ ব্লকের গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অমরপুর হীরালাল বিদ্যানিকেতনে শনিবার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এসে তালা খুলে শিক্ষক -শিক্ষাকর্মীদের উদ্ধার করলেও পরে অফিস ঘরে ফের তালা ঝুলিয়ে দেন পঞ্চায়েত প্রধান রতিকান্ত বেরা। তাঁর কথায়, “বিক্ষোভ না করলে সমস্যার সমাধান হয় না। এই ভাবে স্কুল চলার চেয়ে না চলাই ভাল।”
প্রসঙ্গত, ওই স্কুলে পরিচালন সমিতিতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। দলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে তাদের বিরোধ চলছে। তারই জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। শনিবার স্কুল খোলার পরই পরিচালন সমিতির সদস্য ধনঞ্জয় শীট ও প্রায় ৩০ জন অনুগামীকে নিয়ে স্কুলে আসেন রতিকান্ত বেরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে ছুটির কথা বলে ছাত্র -ছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারতে উদ্যত হন তৃণমূলের সমর্থকরা। সাড়ে বারোটা থেকে তালাবন্দি করা হয় শিক্ষকদের। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমান পয়ড়্যা থানায় ও বিডিওকে বিষয়টি জানান। বিডিও বুবুল বাগচির নির্দেশে পুলিশ স্কুলে আসে। প্রায় দু’ঘন্টা পরে ছাড়া পান শিক্ষকরা।
বিমান পয়ড়্যার অভিযোগ, “স্কুলের আলমারি, টেবিলের কাঁচ ভাঙা হয়েছে। শিক্ষকদের হাত -পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নষ্ট হয়ে যায় মিড -ডে মিলের খাবারও। শিক্ষকরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তার দাবি জানানো হবে।” যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, “স্কুলে ভাঙচুর করা হয়নি। নথি পরিবর্তন করা হতে পারে এই আশঙ্কায় তালা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এসে মীমাংসা না করা পর্যন্ত তালা খোলা হবে না।” স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত জানা বলেন, “স্কুলে বারবার এই ধরণের ঝামেলা করা হচ্ছে। দলে জানিয়েও সমাধান হয়নি। দলেরই একটি পক্ষ ক্ষমতায় আসার চেষ্টায় এমনটা করেছে।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে এমন গোলমাল দল বরদাস্ত করে না। শিক্ষার স্বার্থে দলীয় ভাবে উভয়পক্ষকে নিয়ে গোটা বিষয়টির দ্রুত মীমাংসা করা হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|