নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নির্বাসনের ফাঁড়া কাটিয়েছে ক্লাব। তিনি কি পারবেন শাস্তির খাঁড়া এড়াতে?
সোমবার যখন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে ওডাফা ওকোলি কী ভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন, তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ক্লাবের মতো ওডাফারও আর্তি, তাঁর পা থেকে যেন ফুটবল কেড়ে নেওয়া না হয়। এই ব্যাপারে ক্লাবের সাহায্যও পাচ্ছেন। মোহনবাগান কর্তারা যেমন ক্লাবের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের জন্য আইনজীবীর ব্যবস্থা করেছেন, তেমন তাঁর ও এজেন্ট চিমা ওকোরির দিল্লি যাত্রারও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। করতেই হবে। একেই রবিবারের হারের চাপ। এ বার তাঁকেও না পাওয়া গেলে আরও চাপে পড়ে যাবে বাগান। কিন্তু এর পরও শেষ রক্ষা হবে?
শাস্তি এড়ানোর জন্য কর্তাদের লিখিত বার্তায় ওডাফা আবেদন জানাবেন, সেই কলঙ্কিত ম্যাচে লাল কার্ড দেখার জন্য এমনিতেই তিনি দুই ম্যাচে সাসপেন্ড হয়েছেন। জরিমানাও হয়েছে। একই অপরাধে তাঁকে দু’বার শাস্তি দেওয়া যেন না হয়। এ ছাড়াও ওডাফা সে দিনের ঘটনার সিডি নিয়ে যাচ্ছেন। যা দেখিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করবেন, তিনি সে দিন রেফারিকে গালাগালি করেননি, ধাক্কাও দেননি। গ্যালারি থেকে ছোড়া মিসাইলে সতীর্থ রহিম নবি আঘাত পাওয়ার পর একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু সমস্যা হল, সে দিনের রেফারি বিষ্ণু চৌহান ও ম্যাচ কমিশনার গুলাব সিংহ চৌহানের রিপোর্টে পরিষ্কার, ওডাফা গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি দুটোই করেন। রেফারির দিকে তেড়েও যান। বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের রিপোর্টেও সেটা আছে। শুধু ওডাফার সাফাইয়ের উপর নির্ভর করে তাঁর কড়া শাস্তি আটকানো যাবে কি না, সেটাই দেখার। ফেডারেশন সংবিধানে এই ধরনের অপরাধের জন্য এক বছরের সাসপেন্ডের বিধান দেওয়াই আছে। সংবিধানের সেই সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে ওডাফাকে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দিতে পারবেন কর্তারা? |