ভারত সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল, আর সত্যি বলতে যোগ্য দল হিসেবই ম্যাচটা ধোনিরা জিতেছে। যারা বিপক্ষের চেয়ে তুলনায় অনেক ভাল। তবে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার আগে প্রশংসা করব ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার।
কী অসাধরণ একটা স্টেডিয়াম বানিয়েছে ওরা! ভারতীয় ক্রিকেট এ বার বাকি বিশ্বের কাছে গর্ব করতে পারে নিজেদের ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে। কোনও সন্দেহ নেই ভারতীয় বোর্ড এবং দেশের প্রত্যেকটা ক্রিকেট সংস্থারই প্রবল উন্নতি হয়েছে। মনে আছে, যখন আমি খেলাটা শুরু করি তখন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটীয় ব্যবস্থা দেখে অবাক হয়ে যেতাম। আর এখন যখন আমি কোচি, রাঁচি, ধরমশালা, রাজকোট, নাগপুরের স্টেডিয়াম দেখছি, বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে যেতে হচ্ছে।
ক্রিকেটে ফিরি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ড কোনও দিনই দুর্দান্ত কিছু করে দেখাতে পারেনি। ওরা এমন একটা সময় ভারতে এসেছে, যখন কি নাগত বারো বছরের মধ্যে ভারতীয় টিমটার সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের কাছে এটাই সেরা সুযোগ ছিল ভারতকে হারানোর। সিরিজ এখনও শেষ হয়নি ঠিকই, কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে ইংল্যান্ডকে সিরিজ জিততে গেলে প্রচুর উন্নতি করতে হবে। |
রাজকোট ম্যাচের পর থেকেই উন্নতি করে চলেছে ভারত। টিমের প্রত্যেকে নিজের সেরাটা বার করে আনতে পারছে, বিশেষ করে বোলাররা। ভুবনেশ্বর কুমারকে এই অল্প সময়ের মধ্যেই অসাধারণ লাগছে। কিন্তু সামির বোলিংয়ের মান আর জাডেজার আত্মবিশ্বাস ইংল্যান্ডের অবস্থা খারাপ করে ছেড়েছে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অনেকটাই নির্ভর করে থাকে কুক আর পিটারসেনের উপর। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পরই ওদের পারফরম্যান্স পড়তে শুরু করেছে। ক্রিকেটের ছোট ফর্ম্যাটে পিটারসেনের খেলা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। বড় বেশি আগ্রাসন দেখাচ্ছে, কখনও কখনও প্রত্যেক বলে শট নিতে যাচ্ছে। ইনিংস টানতে পারছে না, আর তাই ওয়ান ডে ক্রিকেটে আমি কেপিকে আন্ডার পারফর্মারই বলব। ইংল্যান্ডকে যদি বড় স্কোর তুলতে হয় তা হলে কুক বা পিটারসেনের একজনকে পুরো ইনিংস থাকতে হবে।
ভারতের আবার বেশ লাভ হয়েছে সামি আর জাডেজাকে পেয়ে। বরাবরই পঞ্চম বোলার নিয়ে সমস্যায় পড়ে ভারত। আর নতুন নিয়ম আসার পর পঞ্চম বোলারের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। রাঁচিতে জাডেজার তিন উইকেটই ম্যাচটাকে ভারতের দিকে এনে দিল। কোহলিকে ফর্মে ফিরতে দেখেও ভাল লাগছে।
ইংল্যান্ড ভাগ্য করে রাঁচিতে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু ফায়দাটাই তুলতে পারল না। |