অবনমনের অন্ধকার কাটিয়ে মুক্তপুরীর বাসিন্দা হওয়ার জন্য যাদের বাধা সবার আগে টপকাতে হত, সেই সালগাওকরের কাছে আই লিগের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল মোহনবাগান। অবনমনের কোপ থেকে বাঁচতে আর মাত্র পনেরো ম্যাচ বাকি থাকল করিম বেঞ্চারিফার হাতে। পারবেন কি?
কঠিন পরিসংখ্যান। আই লিগের যা অবস্থা, তাতে অবনমনের গ্রহে এখন চারটে দল ঘোরাফেরা করছে। সালগাওকর ১৬ ম্যাচে ১৪ (ম্যাচ বাকি ১০), স্পোর্টিং ক্লুব ১৫ ম্যাচে ১৩ (ম্যাচ বাকি ১১), ইউনাইটেড সিকিম ১৬ ম্যাচে ১০ (ম্যাচ বাকি ১০) এবং মোহনবাগান ১১ ম্যাচে ০ (ম্যাচ বাকি ১৫)। আত্মবিশ্বাসী বাগান কোচ বলছিলেন, “অবনমন নিয়ে ভাবছিই না। দেড় মাস বাদে আমরা আই লিগে খেললাম। ফুটবলারদের তীক্ষ্নতা কমে গিয়েছে। আশা করছি, পরের ম্যাচ থেকে আমরা কামব্যাক করব।”
প্রত্যাবর্তনে ০-২ হার। তা-ও কিনা লিগ টেবিলে তেরো নম্বরে থাকা দলের কাছে। দেড় মাসে কি তা হলে কোনও পরিবর্তন হয়নি মোহনবাগানে? করিমের যুক্তি, “আমার দল আজ দুরন্ত খেলেছে। আমি ফুটবলারদের খেলায় গর্বিত। আমরা ভাল না খেললে বিপক্ষের গোলকিপার ম্যাচের সেরা হয় নাকি?” শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন না তো বাগান কোচ? কেননা প্রথম পনেরো মিনিট বাদ দিলে বাকি পঁচাত্তর মিনিট শুধু ডেভিড বুথের ফুটবলাররাই দাপিয়ে বেড়ালেন। এমনকী গোলে অরিন্দম ভট্টাচার্য না থাকলে আরও দু’তিনটে গোল হজম করতে হত মোহনবাগানকে। করিমের দলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মাঝমাঠের। আর রবিবারও সেই ডেনসন-জুয়েলরাই ডোবালেন। মজার ব্যাপার হল, রহিম নবি লেফট হাফ দিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। ম্যাচ যত গড়াল একে একে স্টপার, সাইডব্যাক হয়ে স্ট্রাইকার দিয়ে শেষ করলেন। নবির ‘দুর্ভাগ্য’ শুধু গোলকিপারের জায়গাটাই অসম্পূর্ণ থেকে গেল।
করিম যাই বলুন না কেন, রবিবার মারগাওতে বাগানের খেলায় কোনও ঝাঁঝ ছিল না। ওডাফা ওকোলি নেই। টোলগে ওজবেকে করিম পুরো ম্যাচ ফিট বলে ঘোষণা করে দিলেও, এখনও প্রচুর খাটতে হবে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকারকে। মাঝমাঠে বোঝাপড়ার অভাব। ডিফেন্স নড়বড়ে। সব মিলিয়ে, করিমের দলে রোগ অনেক। কিন্তু হাতে সময় কম। আর যে মাত্র পনেরোটা ম্যাচ! |