|
|
|
|
লাগামহীন মন্তব্য করে ফের বিতর্কে বেচারাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
সিঙ্গুর নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আদালত অবমাননার দায়ে পড়েছিলেন। হাইকোর্টে তলব পর্যন্ত করা হয় তাঁকে। তবু কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার মুখে লাগাম নেই! তারই প্রমাণ মিলল রবিবার চন্দ্রকোনা রোডে তৃণমূলের এক জনসভায়।
সেখানে সিঙ্গুর নিয়ে মুখ না-খুললেও প্রতিপক্ষের নেতা-নেত্রীদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বেচারাম। প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাস, বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্য সামনে রেখেই চন্দ্রকোনা রোডের কলোনিপাড়ায় এ দিন জনসভা ছিল তৃণমূলের। বক্তা ছিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী বেচারাম, সুকুমার হাঁসদা, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী প্রমুখ। আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন বেচারাম। নাম না-করেই সিপিএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস, বর্তমান রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রতি অশালীন মন্তব্য করেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক। বুদ্ধদেববাবুর প্রতি তাঁর কটাক্ষ, “ওঁকে কবির ভাইপো বলতে লজ্জা হয়! ওঁর সময়ই গোটা রাজ্য রক্তাক্ত হয়েছিল। খুন, সন্ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল রোজকার ঘটনা।” প্রত্যেক সিপিএম নেতাই মিথ্যে কথা বলছেন বলে তাঁর অভিযোগ। সেই সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের নেত্রীর মতো সৎ নেত্রী গোটা ভারতবর্ষে আর এক জনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না!”
অনিলবাবুর মতো প্রয়াত নেতাকে এ ভাবে আক্রমণ করায় ক্ষুব্ধ সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। তাঁর বক্তব্য, “যাদের এক জন মন্ত্রী মৃত ব্যক্তিকে নিয়েও অশালীন কথা বলেন, সে দল নিয়ে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না! বেচারাম, আরাবুলের মতো লোকেই ভরা তৃণমূল!” আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দুও। তাঁর অভিযোগ, “চন্দ্রকোনা রোডে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সিপিএম।” সভার জমায়েতের প্রতি তমলুকের সাংসদের আহ্বান, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। যাতে চন্দ্রকোনা রোড, গোয়ালতোড়, কেশপুর, গড়বেতার মতো জায়গায় সিপিএম কোনও বুথে প্রার্থী দিতে না পারে, তার জন্য আপনারা রুখে দাঁড়ান!” সংবাদমাধ্যমের প্রতি বিষোদ্গার করতেও ছাড়েননি শুভেন্দু। |
|
|
|
|
|