|
|
|
|
খড়্গপুরে ডাকাতির কিনারা হয়নি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে পারল না পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হলেও ধরা পড়েনি একজন অভিযুক্তও। আশপাশের এলাকায় চুরি- ছিনতাই চলছেই। এরই প্রতিবাদে রবিবার সকালে খড়্গপুর লোকাল থানায় বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। পরে খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, সিআই অরিন্দম দাসের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান তাঁরা। পুলিশ অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা চলছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রবিবার গভীর রাতে দু:সাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের খাটরাঙ্গা এলাকায়। |
|
অবস্থানে গ্রামবাসী।—নিজস্ব চিত্র। |
সশস্ত্র দুস্কৃতীদের একটি দল ভোলানাথ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয়। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে বেশ কয়েক ভরি গহনা এবং লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালিয়ে যায় দলটি। যখন এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল তখন পরিবারের সকলেই বাড়িতে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা পালানোর সময় পরিবারের এক সদস্যকে মারধরও করেন। জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কেন এখনও ঘটনার কিনারা সম্ভব হল না, এই প্রশ্ন তুলেই রবিবার সকালে খড়্গপুর লোকাল থানায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। যে পরিবারে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই পরিবারের সদস্যরাও। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ডাকাতির ঘটনার কিনারা হল না। উল্টে আশপাশের গ্রামে এখনও দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।” তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে জাতীয় সড়ক অবরোধের হুমকিও দেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রেজানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে একটি সূত্র মিলেছে। ওই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে। পুলিশের আশ্বাস, দুষ্কৃতীদের খোঁজ পেতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|