প্রাণের দায় বড় দায়। কুকুরের হাত থেকে বাঁচতে গৃহস্থের ঘরে আশ্রয় নিল একটি চিতাবাঘ।
শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রবিবার বিকেলে বন দফতরের কর্মীরা চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন। পলামু জেলার ডালটনগঞ্জের বীরসানগর কলোনির বাসিন্দা ভরত মাহাতো। শনিবার রাতে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ঘরের পিছনের দরজা আলগা করে বন্ধ করা ছিল। কুকুরের তাড়া খেয়ে একটি চিতাবাঘ কোনও ভাবে সেই দরজা খুলে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। পরে ভরতের প্রতিবেশীরা ওই দরজাটি আটকে দেওয়ায় বাঘটি ঘরের ভিতরেই আটকা পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের দিকে হঠাৎ কলোনির রাস্তায় কুকুর ডাকতে শুরু করে। কলোনির বাসিন্দারা প্রথমে সন্দেহ করেন এলাকায় চোর ঢুকেছে। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই ভরতের ঘর থেকে বাঘের ডাক শুনে বুঝতে পারেন চোর নয়, এলাকায় বাঘ ঢুকছে। প্রথমে কলোনির লোকজন ভয় পেয়ে পেলেও পরে সাহস করে তাঁরা গিয়ে ভরতের ঘরের দরজা বাইরে থেকে শিকল তুলে দেন।
ভরতের ঠিক উল্টো দিকের বাড়িতেই থাকেন অর্জুন মাহাতো। তিনিই সাহস করে গিয়ে ভরতের ঘরের পিছনের দরজার শিকল তুলে দেন। অর্জুন বলেন, “এক দল কুকুর বাঘটিকে তাড়া করে। বাঘটি যখন ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ার পরেও বেশ কিছু ক্ষণ কুকুরগুলি ওই ঘরের সামনে ভিড় করেছিল।” এই ঘটনাকে ঘিরে সকাল থেকেই ওই এলাকায় ভিড় জমে যায়। বাঘ দেখতে আশপাশের এলাকা থেকেও লোকজন ভিড় করে। চেনপুর থানা খবর দেয় বেতলা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে। বিকেলের দিকে বন দফতরের কর্মীরা জাল আর বড় খাঁচা নিয়ে কলোনিতে আসেন। তিন-চার ঘণ্টার চেষ্টার পরে তাঁরা বাঘটিকে বন্দি করতে সক্ষম হন।
বন দফতরের আধিকারিকদের ধারণা, বাঘটি কোনও ভাবে জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। ফেরার রাস্তা চিনতে না পেরে সেটি লোকালয়ের দিকে চলে আসে। |