লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যুতে রবিবার সকালে তেতে ওঠে খানাকুলের মসজিদতলা এলাকা। লরিটিতে আগুন ধরিয়ে চালক এবং খালাসিকে বেধড়ক মারধর করে জনতা। দু’জনকেই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করায়। লরি চালক নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। ঘটনার প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাদে রাস্তা থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম রিয়া দলুই। বাড়ি উদনা গ্রামে। সে এবং তার এক বোন এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মামার সঙ্গে সাইকেলে চড়ে দাসপুরে মামারবাড়িতে যাচ্ছিল। সাইকেলের পিছনে বসে ছিল রিয়া। বালিপুর-কালিতলা থেকে খানাখন্দে ভরা গ্রামের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই রিয়ার মামা সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারান। রিয়া রাস্তার ডান দিকে এবং তার মামা ও বোন বাঁ দিকে উল্টে পড়ে। পিছন থেকে আসা বাদাম-বীজ বোঝাই লরিটির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রিয়ার। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আরামবাগ থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই লরি বোঝাই বাদাম-বীজ পুড়ে যায়। খানাকুল, পুড়শুড়া এবং আরামবাগ থেকে পুলিশ বাহিনী এসে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। দুপুর ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। লরি চালক রামচন্দ্র রেড্ডি এবং খালাসি শুভ রাউত দু’জনেরই বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। |