|
|
|
|
গণতন্ত্র রাখতে চাই বাম সরকার: মানিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে ফের বামফ্রন্ট সরকার গড়ার ডাক দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যের বামফ্রন্ট কমিটির ডাকে আজ শহরের আস্তাবল ময়দানে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, “শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়ন, একে অপরের হাত ধরাধরি করে চলে। অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না, তেমনি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছাড়া সমাজ তথা মানুষের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “বামফ্রন্টের দীর্ঘ শাসনের ফলে আজকের ত্রিপুরায় যে শান্তি, সুস্থিতি এবং উন্নতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে ধরে রাখতে এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার।” জনসভায় মানিক সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান খগেন দাস প্রমুখ।
বাম সরকারই ত্রিপুরায় শান্তি কায়েম করেছে দাবি করে মানিক সরকার বলেন, ‘‘শান্তির কোনও বিকল্প নেই। ত্রিপুরাতে উগ্রপন্থীদের ইতিহাস ৩০-৪০ বছরের। এই উগ্রপন্থী দলগুলি ত্রিপুরার ভারতভুক্তি মানতে চায় না। |
|
বামফ্রন্টের ডাকা সমাবেশে জনতার ভিড়। রবিবার আগরতলায় উমাশঙ্কর রায়চৌধুরীর তোলা ছবি। |
পূর্ববাংলার ছিন্নমূল মানুষ ত্রিপুরায় আশ্রয় এবং শান্তির খোঁজে এসেছিলেন, ত্রিপুরার উপজাতি-অনুপজাতি তাঁদের বুকে টেনে নিয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, সন্ত্রাসবাদীরা ঘোষণা করেছিল, ত্রিপুরায় আশ্রিত বাস্তুচ্যুত মানুষদের থাকতে দেবে না। ভারত থেকে ত্রিপুরাকে বিচ্ছিন্ন করে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ করবে। গত শতকের আশি-নব্বইয়ের দশকে প্রায় প্রতি দিন উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হতেন ত্রিপুরার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সেই অস্থির, অনুন্নয়নের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবেশকে দূরে সরিয়ে রেখে তৈরি হয়েছে আজকের শান্তি-সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের ত্রিপুরা।” ১৯৮৮ সালের কংগ্রেস-উপজাতি সমিতির জোট সরকারের কথাও মনে করিয়ে দেন মানিক সরকার। তিনি বলেন, ‘‘জোট আমলের সেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, অশান্তির পরিবেশ ত্রিপুরাবাসী আর ফিরিয়ে আনবেন না।’’
বিজেপিকেও এক হাত নেন মানিকবাবু। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সমালোচনা করে তিনি জানান, সে সময়ে রাজ্যে কংগ্রেস সরকার থাকলেও বামপন্থী কর্মীরা রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। রাজ্যের উন্নয়নের প্রসঙ্গও তুলে ধরে মানিক সরকার। তাঁর দাবি, রাজ্যে প্রায় ১১০০ গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিলেজ কমিটি প্রত্যেকটিতে রাস্তা তৈরিয়ে হয়েছে। রাজ্যের যে জায়গায় পানীয় জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, সেখানেও আগামী কয়েক বছরে তা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জনসভায় রাজ্যের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন প্রকাশ কারাটও। তাঁর দাবি, ‘‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, বেকারদের চাকরি, নিরক্ষতা দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদী মোকাবিলা-সহ সমাজে বুনিয়াদি পরিষেবার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার যে ভাবে কাজ করেছে, তা সারা ভারতে প্রশংসিত। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারও তার প্রশংসা করেছে।’’ |
|
|
|
|
|