স্কুল কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার রাতে খিদিরপুরের বঙ্কিম ঘোষ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষিকাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে পুলিশ।
স্কুল সূত্রের খবর, এ দিন স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। নির্বাচনে ‘বাম সমর্থিত’ প্রতিনিধিরা ছ’টি আসনেই জিতে যান। অভিযোগ, তার পরেই ভোটে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কিছু তৃণমূল-সমর্থক এবং অভিভাবকদের একাংশ। শিক্ষিকাদের গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ।
এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর ষষ্ঠী দত্তের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকাদের একাংশ অভিভাবক-ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এমনকী স্কুলের অভিভাবক নন, এমন অনেক বহিরাগত লোকও ভোট দিয়েছেন বলে স্থানীয় কাউন্সিলরের অভিযোগ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শমিতা চক্রবর্তী অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ভোট পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় পক্ষের প্রার্থীরা ভোটের সময় উপস্থিত ছিলেন।” ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়নি বলে জানান তিনি। শমিতাদেবীর বক্তব্য, বিক্ষোভ ও কটূক্তিতে শিক্ষিকারা ভয় পেয়ে যেন। শেষ পর্যন্ত স্কুলের অনুরোধেই পুলিশ এসে শিক্ষিকাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়। ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক এবং এলাকার সিপিএম নেতা ফৈয়াজ আহমেদ খান বলেন, “স্কুলে স্কুলে তৃণমূলের অরাজকতায় মানুষ ক্ষুব্ধ। ভোটের ফলাফলে সেই ক্ষোভেরই প্রতিফলন ঘটেছে।” তাঁর অভিযোগ, হেরে গিয়ে তূণমূল নেতারা শিক্ষিকাদের গালিগালাজ করেছেন। |