কেষ্টপুর খাল সংস্কারে হাত দিচ্ছে রাজ্যের সেচ দফতর। এর পরে প্রথম পর্যায়ে উল্টোডাঙা থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত খালের দু’পাশে সৌর্ন্দযায়নও হবে বলে জানিয়েছে তারা। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে খালের দু’কিলোমিটার অংশের সৌর্ন্দযায়ন হবে। খুব শীঘ্রই খাল সংলগ্ন সমস্ত পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কাজ শুরু হবে।”
খালের দু’পাশে অনেক জায়গাই জঞ্জালে ভরা, জবরদখলও হয়ে রয়েছে। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, প্রথম পর্যায়ে সৌন্দর্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট অংশে জবরদখল ও আবর্জনার সমস্যা নেই। কিন্তু দমদম পার্কের পর থেকেই খালের দু’পাশে আবর্জনার স্তূপ। রয়েছে জবরদখলকারীও। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরো খাল সংস্কার না করে এবং জবরদখলকারীদের না সরিয়ে নির্দিষ্ট একটি অংশের সৌন্দর্যায়ন কার্যত অসম্ভব। যদিও রাজীববাবুর দাবি, সংশ্লিষ্ট সব পুরসভা সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, তাদের ও এক বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে খাল সংস্কার শুরু হবে। রাজীববাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবে রূপায়ণ করতেই হবে।”
বাম আমলেও হিডকোর সাহায্য নিয়ে কেষ্টপুর খাল সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। চলেছিল লঞ্চও। যদিও তা বন্ধ হয়ে যায়। কেষ্টপুর খাল ফিরে যায় সেই আগের অবস্থাতেই।
খালের দু’ধারে জবরদখলের সমস্যার কথা মানছে সেচ দফতর। তবে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে সল্টলেক পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং এলাকার বিধায়ক সুজিত বসুর সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে অভিযোগ, সৌর্ন্দযায়নের প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ হলেও এখনও রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার কাউন্সিলর, এমনকী চেয়ারম্যানের সঙ্গেও কথা বলেনি সেচ দফতর। ওই পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ ব্যাপারে এখনও পুরোপুরি অন্ধকারে। তবে এলাকার উন্নয়নে আমরা আলোচনায় বসতে রাজি।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খালের দু’পাশে হবে কাফেটেরিয়া, জগিং পাথ, বসার জায়গা, নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। যে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজ হচ্ছে, তার এক কর্তা বলেন, “ড্রেজিং-সহ কেষ্টপুর খালের সংস্কারের কাজ সেচ দফতর শেষ করলেই আমরা সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করব।” |