তাঁর মঞ্চে থাকা না-থাকা নিয়ে বিতর্ক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মঞ্চে চাননি, এমন কথাও রটেছিল। বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য, কেন্দ্রে পরিবহণ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সীতারাম ইয়েচুরির নাম উল্লেখ করেছেন।
তবে বিমান পরিবহণও যেহেতু ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির আওতাধীন, তাই সংশ্লিষ্ট মহলের মতে মঞ্চেও থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল ইয়েচুরিকে। ইয়েচুরি নিজেও দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ। রবিবার অনুষ্ঠানের শেষে তিনি বলেন, “আমি মঞ্চের সামনে সোফায় বসেছিলাম। আমরা লড়াই করেছিলাম বলেই আজ কর্তৃপক্ষ এই টার্মিনাল বানাতে পেরেছেন। সে কথা ভুলে গেলে আমি কী করব?” |
দমদমে ইয়েচুরি। —নিজস্ব চিত্র |
বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, মঞ্চে থাকার জন্য ইয়েচুরিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রধানত মমতার আপত্তিতেই তাঁকে মঞ্চে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দাবি। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ সে কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মঞ্চে কে কে থাকবেন, তা রাষ্ট্রপতির দফতর থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় ইয়েচুরি ছিলেন না।”
এ দিন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ, দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কে সি বেণুগোপাল, বিমানসচিব কাশীনাথ শ্রীবাস্তব এবং বেদপ্রকাশ অগ্রবাল। বিমানবন্দর পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও মঞ্চে ছিলেন। তিনি স্থানীয় সাংসদও বটে। তাই তাঁকে মঞ্চে রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
মঞ্চের সামনের সোফায় ইয়েচুরি ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত-সহ অনেক নেতা উপবিষ্ট ছিলেন। তার আগে মমতা, সৌগত এবং ইয়েচুরি একসঙ্গে প্রণবকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখনও মমতা ও ইয়েচুরিকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে দেখা যায়নি। তবে অনুষ্ঠান-মঞ্চে অন্য কেউ ইয়েচুরির নাম উল্লেখ না করলেও মমতা উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করার সময় মুকুল ও ইয়েচুরির নাম নেন। |