নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালনকে ঘিরে এ বারও দেখা দিচ্ছে টানাপোড়েনের আবহ। রেড রোডে ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আলোচনা চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতাজি জয়ন্তী কমিটির তরফে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন সাংসদ সুব্রত বসু প্রথমে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। দু’দিন আগে চিঠি পাঠিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও। অনুষ্ঠানের আর তিন দিন বাকি। কিন্তু বামেদের বক্তব্য, রবিবার পর্যন্তও সরকারের মনোভাব তাঁদের জানানো হয়নি। তেমন হলে বুধবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে রেড রোডে গিয়ে নেতাজির মূর্তিতে মালা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বাম নেতারা। ফ ব-র প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই বলেছেন, প্রয়োজনে ‘বলপূর্বক’ তাঁরা রেড রোডে মালা দিতে যাবেন।
বাম জমানায় বামফ্রন্ট ও কেন্দ্রীয় নেতাজি জয়ন্তী কমিটি যৌথ ভাবে নেতাজির জন্মদিন পালন করত। পরিবর্তনের জমানায় গত বছর নেতাজি জয়ন্তী উদযাপনকে ঘিরে সরকারের সঙ্গে বামেদের সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্য দেখিয়ে অশোকবাবুদেরই আগে মালা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এ বারের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে আজ, সোমবার ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসছে। তার পরেই রয়েছে বামফ্রন্টের বৈঠক। যেখানে বিমানবাবুর সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করতে চান ফ ব নেতারা।
অশোকবাবুর বক্তব্য, নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে পালন করতে এখনও উৎসাহ দেখায়নি রাজ্য। ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সৈরানির কথায়, “যেখানে এত মনীষীকে নিয়ে এই রাজ্য সরকারের আমলে এত কিছু হচ্ছে, সেখানে নেতাজির জন্মদিন পালনকে ঘিরে এমন মনোভাব আশ্চর্যজনক!” নেতাজিকে নিয়ে আবেগের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী এ বারও সৌজন্যের পথে হাঁটলে অন্য কথা। নচেৎ প্রয়োজনে সংঘাতের পথে যাওয়ার কথাই ভেবে রেখেছেন বাম নেতারা। প্রসঙ্গত, সুভাষচন্দ্রের এ বারের জন্মদিন উপলক্ষে ফ ব-র মুখপত্রের একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছেন অশোকবাবুরা। সেখানে হরিপুরা, ত্রিপুরি কংগ্রেস-সহ সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবনের নানা পর্বের গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি ও বক্তৃতার সংকলন স্থান পেয়েছে। |