শীতের মরসুম মানেই নলেন গুড় আর তার হাত ধরেই আসে মোয়া। আরও স্পষ্ট করে বললে জয়নগরের মোলা। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই বিখ্যাত, ঐতিহ্যবাহী জয়নগরের মোয়ার গুণগত মান, স্বাদ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই কারণেই মোয়ার ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং তা রাখতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মোয়া শিল্পীদের সে সব নিয়েই হয়ে গেল এক কর্মশালা। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের পরিচালনায় আয়োজিত জয়নগরের নিমপীঠ কৃষি-বিজ্ঞান কেন্দ্রে কর্মশালার উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। উপস্থিত ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক তরুণ নস্কর, জেলা কৃষি আধিকারিক আশিষ লাহিড়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজির অধ্যাপক উৎপল রায়চৌধুরী প্রমুখ। ছিলেন মোয়াশিল্পে যুক্ত প্রায় দু’শ জন। কর্মশালায় চলে মোয়ার বর্তমান গুণগত মান নিয়ে আলোচনা। আলোচনায় মোয়া প্রস্তুতকারী এবং দোকানদারদের পক্ষ জানানো হয় যে, মোয়া শিল্পের সঙ্গে জয়নগর ১ এবং ২ নম্বর ব্লক, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর এবং ক্যানিং ব্লকের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জড়িত। কিন্তু বর্তমানে উৎকৃষ্ট মোয়া তৈরি করতে যে নলেন গুড়ের প্রয়োজন তার জোগান কমে যাওয়ায় বিপদের মুখে পড়েছে এই শিল্প। কারণ খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। রস উৎপাদন হচ্ছে অনেক কম। এ ছাড়া মোয়ার জন্য যে কনকচূড় ধানের প্রয়োজন তার জোগানেও সমস্যা রয়েছে। পাশাপাসি রয়েছে জ্বালানির দামবৃদ্ধি।
তরুণবাবু বলেন, “এদিনের আলোচনায় ঠিক হয়েছে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে বেশি করে খেজুর গাছ বসানো, কনকচূড় ধানের উচ্চফলনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জ্বালানির খরচ কমানোর ক্ষেত্রেও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জয়নগরের মোয়ার শংসাপত্রের ব্যবস্থা করা হবে।” |