জলাধার থেকেও মিটছে না সমস্যা
কেই বলে প্রদীপের নীচে আন্ধকার। খয়রাশোলের বাবুইজোড় পঞ্চায়েত এলাকার ইসলামকুড়ি গ্রাম ঘেঁষেই রয়েছে হিংলো জলাধার। অথচ মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে থাকা বাবুইজোড় গ্রামের চাষিরাই চাষের জন্য ওই জলাধার থেকে জল পান না। এই নিয়ে আক্ষেপও রয়েছে তাঁদের। স্থানীয় চাষি বাবলু গড়াই, অবধূত পাল, দয়াময় গড়াইরা বললেন. “এই অঞ্চলে চাষের একমাত্র ভরসা বৃষ্টির জল। যদি বর্ষা পরিমাণ মতো না হয়, তা হলে চাষ ভাল হয় না। এখানে অধিকাংশ পুকুরেই বছরভর জল থাকে না। ফলে মার খায় রবি চাষও।”
যে হিংলো জলাধার থেকে খয়রাশোল ও দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা সেচের জল পেয়ে থাকেন, সেই জলাধার বাবুইজোড় পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা জল পাবেন না? পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস ঘোষ বলেন, “যতদুর জেনেছি গ্রামের ভৌগলিক আবস্থানের জন্য ওই জলাধার থেকে কোনও সেচনালা করা হয়নি। তবে এই এলাকার সব চেয়ে বড় পুকুর ‘সায়েরবাঁধ’ সংস্কার করে এবং সেখানে বৃষ্টির জল ধরে রেখে বা হিংলো জলাধার থেকে কোনও ভাবে ওই পুকুরে সংযোগ করানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
খয়রাশোলের বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “এমনিতে চাষযোগ্য জমিতে সেচের সমস্যা শুধু বাবুইজোড়ের নয়, এই ব্লকের আরও বেশ কয়েকটি এলাকারও একই সমস্যা। সমস্যা মেটাতে বাবুইজোড় গ্রামের ওই পুকুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় আরও তিন-চারটি পুকুর দেখা হয়েছে। তবে পুকুরগুলিতে পাথর থাকায় সেগুলি সংস্কার করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত— এখানকার মাটির জলধারণের ক্ষমতা কম থাকায় খুব তাড়াতাড়ি পুকুরে জল কমে যায়। তাই নীচে পলিথিনশিট দিয়ে সেই জলধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সে জন্য ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের পরিবর্তে পঞ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের টাকায় পুকুর সংস্কার ও প্রয়োজনীয় জলধারণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করে জেলাকে জানানো হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.