‘অকারণে’ দলীয় কর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ, ও এক দলীয় সমর্থকের অভিযোগ নেওয়া হয়নি, আসানসোল-দুর্গাপুর (সেন্ট্রাল) এডিসিপি সুরেশ চাডভির কার্যালয়ে গিয়ে এমনই দাবি করলেন আইএনটিটিইউসির অন্ডাল ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি সাধন রায়। এডিসিপির কাছে পুলিশের কাজের নিন্দাও করেন তিনি।
জামুড়িয়ার শ্রীপুরের বাসিন্দা সাধনবাবু জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দলীয় কর্মী প্রহ্লাদ বাউরি তার আট বন্ধুকে নিয়ে নিঘার একটি হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, রাত দশটা নাগাদ শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ প্রহ্লাদকে সেখান থেকে বিনা কারণে তুলে নিয়ে আসে। পরের দিন শ্রীপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে তা নিতে অস্বীকার করা হয় বলে সাধনবাবুর দাবি। অন্য দিকে, এ রাতেই স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর বিশ্বনাথ চট্টরাজ দলীয় সমর্থকদের নিয়ে তাঁর দাদা, তৃণমূলকর্মী পরেশবাবুর বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ। পরেশবাবুরা শ্রীপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। |
সাধনবাবুর দাবি, বিশ্বনাথবাবু পুলিশ পরিচালিত পার্কের কর্মী লাল্টু বলে এক জনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পারিবারিক জমি বিক্রি করেছেন। পরেশবাবু সে ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করলে, এক দিন আগে কথা বলার জন্য পুলিশ বিশ্বনাথবাবুকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু শনিবার রাতের ঘটনায় পরেশবাবুর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এর জেরে রবিবার সকালে শ্রীপুর ফাঁড়ির সামনে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল ১১টা নাগাদ পরেশকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্বনাথবাবু জানান, তাঁর নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা করেছেন পরেশবাবু। সাধনবাবুর বক্তব্য, এর পর জামুড়িয়া থানা থেকে তাঁকে এডিসিপির সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। সেখানে গেলে তাঁকে এডিসিপি জানান, প্রহ্লাদ মদ খাচ্ছিল বলে তাকে ধরা হয়েছে। সাধনবাবুর অভিযোগ, যে হোটেল থেকে প্রহ্লাদকে ধরা হয়েছে, সেখানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি হচ্ছিল। অথচ, দোকানমালিক বা ক্রেতাদের কিছু না বলে শুধুমাত্র প্রহ্লাদকেই ধরা হয়েছে। সুনীলবাবুর দাবি, দোকানদারের কাছ থেকে অবৈধ মদ পাওয়া যায়নি বলে তাকে কিছু বলা হয়নি। সাধনবাবুর আরও অভিযোগ, পরেশবাবুর বিষয়ে এডিসিপি তাঁকে জানান, মামলা চলছে বলেই পরেশবাবুর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এডিসিপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |