সিকিম সীমান্তে ত্রিবেণী মেলা থেকে ফেরার পথে শুক্রবার রাতে তিস্তায় তলিয়ে গেল যাত্রীবোঝাই একটি গাড়ি। ঘটনাটি দার্জিলিংয়ের রংলি রংলিয়টের তিস্তা এলাকার। ওই রাতেই পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এক শিশু-সহ তিন জনের দেহ
উদ্ধার করে। শনিবার দিনভর তল্লাশির পরে উদ্ধার হয় আরও তিনটি মৃতদেহ। তবে রাত পর্যন্ত ১০ জনের কোনও খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ জানায়, মৃত রোশনি প্রধান (৩), মালতী প্রধান (৩৮), ইডেন ভুটিয়া (১৩), মঞ্জু ছেত্রী (৩২) এবং দীপিকা ছেত্রী সিকিমের মল্লির বাসিন্দা। প্রবাস প্রসাদের (২২) বাড়ি তিস্তাবাজার এলাকায়।
দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ সরকার বলেন, “দিনভর তল্লাশি চলছে। রাতেই ৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ।
|
জল থেকে গাড়িটি তোলার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি। |
কি ভাবে দুর্ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শুক্রবার পরিবার এবং আত্মীয়দের নিয়ে মেলায় গিয়েছিলেন মল্লির বাসিন্দা অমর প্রধান। রাতেই সেখান থেকে রওনা হন। গাড়িতে ছিলেন ২২ জন। অমরবাবু নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিস্তা এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলও যায়। রাতেই অমরবাবুর মেয়ে রোশনি-সহ ৩ জনের দেহ মেলে। জীবিত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং বাকিরা কালিম্পং হাসপাতালে ভর্তি। এ দিন ‘র্যাফটিং টিম’ নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। দুপুরে আরও তিন জনের দেহ মেলে। |