দাবি মতো টাকা না-পেয়ে একটি জমিতে পুরসভার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মার বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জননগরে। ঘটনাচক্রে, রঞ্জনবাবু ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। ওই জমি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সঞ্জীব সরকার পুলিশে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “সম্প্রতি জমিতে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হলে ডেপুটি মেয়র ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তিনি পুরসভার সাইনবোর্ড লাগিয়ে ওই জমি দখল করেছেন।” রঞ্জনবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।”
রঞ্জনবাবু বলেন, “সাড়ে ১৩ কাঠার একটি খাস জমি কিছু জমির দালাল দখল করে নেওয়ার ছক করেছিল। ওই জমিতে দীর্ঘদিন আগেই একটি হাইস্কুল তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তা জমির দালালদের হাতে যেতে দিতে পারি না। তাই পুরসভার তরফে জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “যদি কারও কাছে ওই জমির দলিল থাকে তাঁরা পুরসভায় আসুন। কাগজপত্র দেখান। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে কি হবে?” কিন্তু, পুরসভা যদি কোনও সরকারি জমিতে স্কুল গড়তে চায় তা হলে বোর্ড মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জমির নথিপত্র ভূমি দফতরের কাছ থেকে খতিয়ে দেখে নিয়ম মেনে হস্তান্তরও বাধ্যতামূলক। তার আগেই সাইনবোর্ড দেওয়া হল কেন? ডেপুটি মেয়রের দাবি, পুরসভায় আলোচনার পরেই সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের মাথাভাঙার সাব ডিভিশন ফুড কন্ট্রোলার অসিতবরণ মজুমদার ওই জমি তাঁদের বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, “ওখানে আমাদের দেড় বিঘা জমি রয়েছে। তার মধ্যে দেড় কাঠার মতো জমি পুরসভার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। বাকি জমি রয়েছে।” তিনি বলেন, “চাকরিসূত্রে আমাকে বাইরে থাকতে হয়। ওই জমি স্থানীয় এত জনকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছি। এ দিন জানতে পুরসভার সাইনবোর্ড লাগিয়ে ওই জমি দখল করা হয়েছে। পুরসভার তরফে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। কেন আমার জমি দখল করা হল বুঝতে পারছি না।” পুরসভার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অসিতবাবুর জমির অধিকাংশটাই বিক্রি করে দিয়েছেন। |