ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ তথ্যকেন্দ্রের সামনে দিয়ে হেঁটে কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সে সময় সেখানে একটি দোকানে বসে থাকা এক যুবক তাঁর পিছু নেয়। কিছুটা যাওয়ার পরই ওই যুবক তার হাত টেনে ধরে, গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানতে পেরে শিলিগুড়ি কলেজে থেকে একদল ছাত্র গিয়ে ওই যুবককে আটক করে। তাকে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েকদিন আগে সন্ধ্যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাছে শিলিগুড়ি হাসপাতালের এক মহিলা অফিসারের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। ফের একই ধরণের ঘটনায় শিলিগুড়িতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে।
শিলিগুড়ি কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্লীলতাহানির মামলা করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মলয় করঞ্জাই এদিন ছুটিতে ছিলেন। তিনি গোটা ঘটনার কথা জানেন। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কলেজে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই ছাত্রী অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছিলেন। তিনি সব কথা আমাদের জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা থানায় জানিয়েছি। এই ধরণের ঘটনায় অভিযোগ না করা হলে অপরাধীদের সাহস বেড়ে যাবে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।”
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রুদ্র সাহানি। তার বাড়ি টিকিয়াপাড়া এলাকায়। সে তথ্যকেন্দ্রের সামনে একটি দোকানের কর্মী। কলেজ সূত্রের খবর, কলেজের শারীরশিক্ষা বিষয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী প্রতিদিন কোর্ট মোড়ের কাছে সিটি অটো থেকে নেমে তথ্যকেন্দ্রে সামনে দিয়ে হেঁটে কলেজে যান। এদিন সকালে তাঁর ক্লাস ছিল। শারীরশিক্ষা বিষয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র অনির্বাণ কুণাল চক্রবর্তী সহ চারজন ছাত্রও পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। কুণাল বলেন, “ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে কলেজে পৌঁছয়। আমাদের সব বলে। ছাত্ররা ওই যুবককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। আমরা অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করছি।” ঘটনার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে থানায় স্মারকলিপি দিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। |