|
|
|
|
ঘাটালে আক্রান্ত সিপিএম কর্মীরা, সংঘর্ষ কালনাতেও |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে মার খেয়েছেন সিপিএমের লোকাল কমিটি সম্পাদক ও এক জোনাল সদস্য। বর্ধমানের কালনায় আবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘাটালের খড়ার এলাকার পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে মারধর ও তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট চালিয়েছে তৃণমূল। ওই পাঁচ জনের মধ্যে আছেন ঘাটাল জোনাল সদস্য অচিন্ত্য নায়েক, খড়ার লোকাল সম্পাদক ফাল্গুনী বীর। সিপিএমের ঘাটাল জোনাল সম্পাদক উত্তম মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী খড়ার এলাকায় অশান্তি ছড়াতে সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট করেছে।” পরে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে খড়ার শহরে মিছিল করে সিপিএম। ঘটনায় তৃণমূল নেতা অলোক কর্মকার-সহ আটজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। যদিও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝি-র পাল্টা দাবি, “সিপিএম নেতা ফাল্গুনী বীরের নেতৃত্বে প্রথমে আমাদের দলের কর্মীদেরই মারধর করে সিপিএম। তাতেই কয়েক জন ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নেতাদের উপরে হামলা চালান।”
অন্য দিকে, শনিবার দুপুরে কালনার বুলবুলিতলা বাজারে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের কালনা ১ ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সুকুর আলি শেখ। মাথায় চোট পেয়ে সুকুরবাবু কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের তীর সিপিএমের দিকেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়াতেই বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক পাল্টা লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের রাস্তায় নামেন। বোমাবাজি শুরু হয় বুলবুলিতলা বাজার ও লাগোয়া এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ধমান সদর থেকে র্যাফ আসে। পরে পুলিশ আট জনকে গ্রেফতারও করে। বর্ধমান জেলা তৃণমূল কিষান খেতমজুরদের সভাপতি রাজকুমার পাণ্ডের দাবি, “কালনা ১ দক্ষিণ লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রণব সিকদারের মদতেই সিপিএম বুলবুলিতলা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।” যদিও সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলই প্রদীপবাবুর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় প্রদীপবাবু-সহ তিন জন আহত হয়েছেন। সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সম্পাদক করুণা ভট্টাচার্যের পাল্টা অভিযোগ, “আগামী ২০ জানুয়ারি সুলতানপুর বাজারে দলীয় সমাবেশ হবে। তা বানচাল করতেই তৃণমূল নিজেই আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে দোষ চাপিয়েছে।”
শনিবার সকালেই তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ, কার্যালয় পোড়ানোর ঘটনায় সিপিএমই জড়িত। পরে অবশ্য পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করে। অন্য দিকে, এ দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া টাউনশিপের টেলিফোন এক্সচেঞ্জে বিএসএনএল-এর বাম সমর্থিত কর্মী সংগঠনের শাখা সম্মেলনে হামলার অভিযোগ উঠল। সংগঠনের হলদিয়া শাখা সম্পাদক তাপস আদকের অভিযোগ, “হামলাকারীরা যে ভাবে লাল পতাকা ব্যবহার করা যাবে না বলে হুমকি দিচ্ছিল তাতেই বোঝা যায় তারা তৃণমূলের লোক।” তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন। আক্রান্ত সংগঠন হলদিয়া টাউনশিপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। সব ঘটনারই তদন্ত হচ্ছে।
|
|
|
|
|
|