হল না মামলা
ধর্ষণের অভিযোগে প্রস্তাব মীমাংসার
ক বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও পরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ওই হামলার পরে বধূটির পরিবার ঘটনাটি জানালেও শনিবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মামলা দায়ের করেনি পটাশপুর থানা। থানার বক্তব্য, এলাকার কিছু তৃণমূল নেতা স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে বলে অনুরোধ করায়, এ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, আক্রান্তের পরিবার দুঃস্থ বলে মামলার খরচ চালাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এলাকাবাসীর একাংশের। তাঁরাই মহিলার চিকিৎসা বা অন্য খরচের টাকা অভিযুক্তের থেকে আদায় করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সূত্রেই মীমাংসার প্রসঙ্গ এসেছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “কী হয়েছে, ঠিক জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
ঘটনাস্থল পটাশপুর থানা এলাকার বাল্যগোবিন্দপুর গ্রাম। বছর তিরিশের ওই বধূর স্বামী পেশায় দিনমজুর। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী ও দশ বছরের ছেলে। বাজারে থাকাকালীন ছেলে মোবাইলে তাঁকে জানায়, তাঁর স্ত্রী-র উপরে হামলা হয়েছে। বাড়িতে ফিরে দেখেন, স্ত্রী-র মাথা-শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, “স্ত্রী-র কাছে শুনেছি, গ্রামেরই বাসিন্দা অচিন্ত্য দাস ওকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রতিবাদ করায় মাথায়-গায়ে চেলাকাঠের বাড়ি মারে।” বধূটির চিৎকারে পড়শিরা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালায়। শুক্রবার রাতে বধূটিকে এগরা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ দিন তাঁকে সরানো হয় তমলুক হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার মাথায় সিটি-স্ক্যান করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
শুক্রবার রাতেই বধূটির স্বামী পটাশপুর থানায় ঘটনাটি জানান। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে পলাতক বছর বত্রিশের অচিন্ত্য। সে বিবাহিত। পেশায় পিক-আপ ভ্যান চালক। স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের কর্মী বলেই অচিন্ত্য এলাকায় পরিচিত। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের সত্যেন্দ্রনাথ পণ্ডা, তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু রায়চৌধুরীর দাবি, “ওই যুবক সাধারণ ভোটার। কোনও অপরাধীর পাশে আমরা নেই।”
সত্যেন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো থেকে শুরু করে পুলিশের সঙ্গে কথা বলাসব বিষয়েই তাঁরা পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, “মহিলার সঙ্গে যা হয়েছে, অত্যন্ত নিন্দনীয়। তবে পরিবারটি বিপিএল তালিকাভুক্ত। একে চিকিৎসার খরচ রয়েছে, তার উপরে মামলার খরচ চালানো ওঁদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই গ্রামবাসীদের একাংশ স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পুলিশকে সে কথাই জানানো হয়েছে। এর মধ্যে অন্য উদ্দেশ্য নেই।” তাঁর সংযোজন, “বধূটির পরিবার যে সিদ্ধান্তই নিক, আমরা পাশে রয়েছি।”
বধূটির স্বামী বলেন, “মীমাংসার ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সুযোগ পাইনি। আগে স্ত্রী-কে তো সুস্থ করে তুলি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.