বেয়াল্লিশ দিন পরে আই লিগে ফের নামার আগে করিমের সামনে হাজির তিন বাধা।
এক) অবনমনের আশঙ্কা।
দুই) টোলগে-নবিদের নিরাপত্তা।
তিন) সালগাওকরের হুমকি।
করিমের দাবি, শুক্রবার গোয়ায় পা দিয়েই সালগাওকর ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের জন্য তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। তাতেই চটে গিয়ে মোহনবাগান কোচকে মাঠের বাইরে হুমকির ‘হলুদ কার্ড’ দেখিয়েছিলেন গোয়ার দলের কর্তারা। যার জেরে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফেডারেশনকে চিঠি দিল মোহনবাগান। চিঠির ছত্রে ছত্রে আশঙ্কা ফুটবলার এবং কোচের নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি দু’দলই। এর মধ্যে সালগাওকরের শেষ জয় একুশ দিন আগে ঘরের মাঠে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। মোহনবাগান আবার নির্বাসনের গেরো কাটিয়ে ফের আই লিগ অভিযান শুরু করছে ‘শূন্য অঙ্ক’ নিয়ে। ফলে ম্যাচ নিয়ে রয়েছে টানটান উত্তেজনা। আই লিগ টেবলে চোদ্দো নম্বর মোহনবাগানের সঙ্গে বারো নম্বর সালগাওকরের (১৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট) লড়াই অবনমন বাঁচানোর।
২০০৯-’১০ মরসুমে এই সালগাওকরকেই অবনমন থেকে বাঁচিয়েছিলেন করিম। এ বার চাকাটা উল্টোমুখী। করণজিৎ-রোকাসদের সালগাওকরের বিরুদ্ধে এখন অবনমন বাঁচানোর প্রথম লড়াই করিমের। তাঁর গলায় সতর্কতা। এ দিন গোয়া থেকে ফোনে বললেন, “লড়াইটা কঠিন। যে কোনও মূল্যে অবনমন বাঁচাতে হবে। ছেলেরা তার জন্য তৈরি।” |
আই লিগে এক মাস না থাকার অভিশাপের সঙ্গে চোট-আঘাত দূর হওয়ার আশির্বাদও হাজির নবিদের দলে। এ দিন সকালে দুলেরের কৃত্রিম ঘাসের মাঠে গোটা দলই ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলন করল ঘণ্টাদু’য়েক। বিকেলে নবিকে ফোনে ধরা হলে তাঁর গলাতেও আত্মবিশ্বাস, “প্রথম লিগে ওদের হারিয়েছিলাম। সেটা মানসিক ভাবে কিছুটা হলেও আস্থা যোগাবে। ওডাফা নেই তো কী, বাকিদের নিয়েই ঝাঁপাতে হবে তিন পয়েন্টের জন্য।” নবির মতোই গোয়ার সাংবাদিকদের কাছে টোলগের হুঙ্কার, “দলে প্রতিভার অভাব নেই। যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট তুলতে গেলে জয় দরকার যে কোনও মূল্যেই।”
ওডাফা না থাকায় টোলগের সঙ্গে আক্রমণে স্ট্যানলির থাকার সম্ভাবনা বেশি। নবিকে মাঝমাঠে রেখে লুসিয়ানো-ফুলগানকোদের রক্ষণে শুরু থেকেই ঝড় তোলার জন্য নীল-নকশাও তৈরি। এ দিন বিকেলেই নির্বাসন ওঠার জরিমানা বাবদ দু’ কোটি টাকা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্তর হাতে তুলে দিলেন মোহনবাগান সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। নির্বাসনের রক্তচক্ষু উধাও, নেই চোট-আঘাত, দেওয়া হয়ে গিয়েছে জরিমানার টাকাও। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা তাই জয়ের সরণিতে প্রিয় দলকে দেখতে পাওয়ার আশায় বুক বাঁধতে শুরু করছেন রবিবার থেকেই। |