|
|
|
|
মাঠে-ঘাটে শৌচ পর্বের সুযোগ নেয় ধর্ষণকারীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
শৌচ কাজের জন্য বাইরে বেরনোই বিহারের গ্রামীণ মহিলাদের সর্বনাশ ডেকে আনছে। রাজ্য পুলিশের সমীক্ষা অনুযায়ীই, রাজ্যে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে এই শৌচ-পর্বেই। হয় ভোরের দিকে, নয়তো সন্ধ্যার দিকে। আরও একটি তথ্য এই সমীক্ষায় সামনে এসেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই গ্রামীণ মহিলারা হয় অবিবাহিত বিবাহযোগ্যা কিংবা সদ্য বিবাহিতা। পুলিশের এক কর্তার কথায়, যতক্ষণ না বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরি হচ্ছে, ততদিন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলবে। বিহারের গরিব পরিবারের মহিলারা মাঠে-ঘাটে অপরাধীদের শিকার হতেই থাকবে!
তথ্য বলছে, ২০০৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে গড়ে প্রতি বছর ৯৮০টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বিহারে। বা বলা ভাল, এই ঘটনাগুলি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৮৭২টি ধর্ষণের ঘটনা পুলিশের কাছে নথিভুক্ত হয়েছে। আইজি (তফসিল জাতি ও উপজাতি ও দুর্বলতর শ্রেণি) অরবিন্দ পাণ্ডের কথায়, “আমরা এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে বাড়ির বাইরে প্রাকৃতিক কাজ সারতে যাওয়ার কারণে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটছে। তিনটে জেলা থেকে তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। আমরা আরও ৩৫টি জেলা থেকে এই ঘটনার বিশদ তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছি।” কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া এবং পূর্ণিয়ায় যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে গত বছর জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ৬১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ২৬টি ঘটনা ঘটেছে শুধু বাইরে প্রাকৃতিক কাজ করতে যাওয়ার জন্য।
পুলিশের মতে, অনেক ঘটনা সামাজিক কারণে পুলিশের কাছে আসে না। তবে যদি মহিলাদের দিয়ে এই ব্যাপারে সমীক্ষা করানো যায় তাতে হয়তো আসল ছবিটি সামনে আসবে। পুলিশ তথ্য বলছে, মূলত গ্রামীণ এলাকায় দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য সদ্য বিবাহিতা এবং অবিবাহিতা মহিলারা। প্রথমত, সদ্য বিবাহিতাদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ভয় ও অবিবাহিতাদের বিয়ে না হওয়ার ভয়, এই দুইয়ে মিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয় না।
বিহারে শৌচাগার নির্মাণের হাল খুবই খারাপ। ২০০১ সালের গণনা অনুযায়ী ১ কোটি ১১ লক্ষ বাড়িতে শৌচাগার নেই। এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ লক্ষ ৭৫ হাজার বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। |
|
|
|
|
|