উপনিবার্চনের দিন ঘোষনার সাত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কংগ্রেস কিংবা সিপিএম কেউই ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, তাঁদের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে শরিকরা আপত্তি তুলে বিরোধিতা করায় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হিমসিম খাচ্ছেন সিপিএমের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে। পাশাপাশি, কংগ্রেস যে তিনজনের নামের তালিকা এআইসিসিসর কাছে পাঠিয়েছেন, তা নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “ইংরেজবাজার বিধানসভা উপনিবার্চনে কে প্রার্থী হবে তা রাজ্য বামফ্রন্ট বৈঠকের পরে ঘোষণা করা হবে। আমরা এখান থেকে কিছুই বলতে পারব না।”জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী জানান, জেলা থেকে তিনজনের নাম এআইসিসিতে পাঠানো হয়েছে। তিনজনের মধ্যে কাকে প্রার্থী হবে ৩-৪ দিনের মধ্যেই এআইসিসি ঘোষণা করবে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই আমরা প্রচার শুরু করব।” ইংরেজবাজার বিধানসভা এলাকার শহর থেকে গ্রাম সবর্ত্র সিংহভাগ দেওয়াল দখল করে প্রচার শুরু করেছে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। প্রতিদিন ৫-৬ গ্রামে গিয়ে সভা করছেন। প্রচারে গিয়ে তৃণণূল কংগ্রেস প্রার্থী একটাই কথা বলছেন, “মালদহের উন্নয়নে বিধানসসভায় জেতার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাকে মন্ত্রী করছেন। আমাকে মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার সুযোগ দিন। আমরা সরকারে আছি তাই আমি জেলার উন্নয়নের জন্য যে কাজ করতে পারব, কংগ্রেস কিংবা সিপিএম কেউ পারবে না।”
পাশাপাশি, তাঁর কটাক্ষ, “আমার বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবে কংগ্রেস, সিপিএম এখনও ঘোষনা করতেই পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওরা কি লড়বে?” ২৩ ফেব্রুয়ারি উপনিবার্চন, হাতে মাত্র ৩৮ দিন অথচ এখন পযর্ন্ত কংগ্রেস কিংবা সিপিএম দলের কেউই প্রচার শুরু করা তো দূরের কথা, দেওয়াল দখল করতে দু’দলেরই একজন কর্মীকেও রাস্তায় নামেনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার উপনিবার্চনে প্রার্থী চূড়ন্ত করতে সিপিএমের রাজ্য নেতা মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে ১৩ জানুয়ারি জেলা পার্টি অফিস মিহির দাস ভবনে জেলা সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে প্রার্থী হিসাবে জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কৌশিক মিশ্র (সাহেব) ও রামপ্রসাদ ঘোষ, সুতপা ঘোষের নাম প্রস্তাব করা হয়। জেলা সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠকে প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত না হওয়ায় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পরদিন জেলা পার্টি অফিসের পরিবর্তে প্রাক্তন মন্ত্রী শৈলেন সরকারের বাড়ি রেণুুকা ভবনে জেলা সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠক বসে। সেখানে একটি নাম চূড়ান্ত হলেও বেঁকে বসে শরিকদলগুলি। এ দিকে জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা কংগ্রেস থেকে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্র নাথ তিওয়ারি, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কালীসাধন রায় ও রতুয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের পুত্র সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নাম পাঠানো হয়েছে। |